Table of Contents
ভেড়ার বাসস্থান
ভেড়া লালন পালনের জন্য আলো—বাতাসযুক্ত শুষ্ক স্থানে ভেড়ার বাসস্থান তৈরী করতে হবে। ভেড়ার বাসস্থান নির্মানে যে বিষয়গুলো বিবেচনায় আনতে হবে তা হলোঃ
- ভেড়ার বাসস্থান এমনভাবে তৈরী করতে হবে যেন তা সব সময় শুষ্ক থাকে এবং ঘরে প্রচুর আলো বাতাস চলাচল করতে পারে।
- ঘরে যাতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করতে না পারে।
- ঘরে শীত হতে ভেড়াকে রক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকতে হবে।
- ভেড়াকে বন্য প্রাণির আক্রমন থেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
- ঘরটি এমনভাবে তৈরী করতে হবে যাতে সহজে পরিষ্কার করা যায় এবং পয়ঃনিষ্কাশনের সুবিধা থাকে।
- ভেড়ার সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ঘর তৈরী করতে হবে।
একটি ভেড়ার জন্য কতটুকু জায়গা দরকার?
সাধারনত প্রতিটি ভেড়ার জন্য সম্পুর্ণ আবদ্ধ অবস্থায় ১০ বর্গ ফুট এবং ছাড়া অবস্থায় পালনের ক্ষেত্রে ৬—৭ বর্গফুট ঘরের জায়গার প্রয়োজন হয়।
তাছাড়া ভেড়ার বয়স, আকার ও উদ্দেশ্য এর ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় জায়গার পরিবর্তণ করতে হয়। যেমন, সম্পূর্ণ আবদ্ধ অবস্থায় ভেড়া লালন করতে হলে তাকে এক্সারসাইজের জন্য অতিরিক্ত জায়গা প্রদান করতে হবে।
৫টি ভেড়ার ঘরের মাপ
- ৫টি ভেড়া পালনের জন্য একটি আদর্শ ঘরের মাপ হলো: ৫ ফিট * ৭ ফিট।
- ঘরটির মেঝে মাটি থেকে কমপক্ষে ১.৫ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করতে হবে।
- ঘরের মেঝে (৬ ফুট * ৫ ফুট) ৩০ বর্গফুট, চালা (৬.২৫ফুট * ৫.৫০ ফুট) ৩৫ বর্গফুট হবে।
- ঘরের সামনের দেয়াল (৬ ফুট লম্বা * ৫ ফুট উচ্চতা), পিছনের দেয়াল (৬ ফুট লম্বা * ৪ ফুট উচ্চতা), বাকি ২ দিকের দেয়াল ৫ ফুট লম্বা * ৪.৫ ফুট উচ্চতা মাপের হবে।
- দেয়ালের নিচের অংশ শক্ত ভাবে আবৃত করতে হবে যাতে বন্য প্রাণির আক্রমন থেকে ভেড়াকে রক্ষা করা যায় এবং উপরের অবশিষ্ট অনাবৃত অংশ তারজালি দিয়ে আবৃত করতে হবে যাতে করে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল করতে পারে।
- এধরনের একটি ঘর তৈরীতে প্রায় ৮—১০ হাজার টাকার প্রয়োজন হবে।
- প্রয়োজনীয় উপকরণ হলো বাঁশ, টিন, কাঠ তারজালি।
- উল্লেখ্য যে ভেড়ার ঘরে যাতায়াত করার জন্য দরজার সাথে একটি বাশেঁর সিড়ি সংযোজন করতে হবে।
তবে মুক্তভাবে (সম্পূর্ণ ছাড়া অবস্থায়) পালনের ক্ষেত্রে ভেড়া প্রতি জায়গা আরো কম হলেও চলে। কেননা এ ক্ষেত্রে ভেড়া শুধুমাত্র রাতে ঘরে অবস্থান করে।
আমাদের দেশে এ ধরনের খামারের সংখ্যা বেশী। এসকল ভেড়া সারাদিন উন্মুক্ত স্থানে বিচরণ করে, সবুজ ঘাস, পাতা, গুল্ম খায় এবং রাতে খামারির বাড়িতে নিধার্রিত স্থানে অবস্থান করে।
যাদের চাষযোগ্য জমির অভাব রয়েছে তারা সাধারণত এ ধরনের পারিবারিক ভেড়ার খামার স্থাপন করে থাকে।
ভেড়ার খাদ্য
ভেড়ার খাদ্যাভাস
ভেড়া গরু—ছাগলের মতই মাঠে চরে লতাপাতা, ঘাস, গুল্ম ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে। এছাড়াও হে, খড়, সাইলেজ, দানাদার খাদ্য ইত্যাদি খেতে পছন্দ করে। এরা সহজেই নতুন খাদ্যে অভ্যস্ত হয়; এমনকি প্রতিকূল পরিবেশে শুধুমাত্র খড় ও নাড়া খেয়েও ভালোভারে বেঁচে থাকে।
ভেড়ার খাদ্য উপকরণ
সবুজ ঘাষ
ভেড়ার মূল খাদ্য উপাদান হলো সবুজ ঘাস। তাছাড়া এরা সবুজ ঘাস এর পাশাপাশি এরা দানাদার খাদ্যও গ্রহণ করে থাকে।
বাংলাদেশের অনেক এলাকায় গবাদিপশুর ঘনত্বের তুলনায় চারণ ভূমির পরিমান কম থাকায় ঘাস উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এক্ষেত্রে বাড়ির আঙ্গিনার আশে—পাশের পতিত জমি, রাস্তার পাশের অব্যবহৃত জমি এমনকি সমবায়ভিত্তিক জমিতেও ঘাস চাষ করা যেতে পারে। ঘাস চাষের ক্ষেত্রে উচ্চ ফলনশীল জাতের ঘাস যেমন— নেপিয়ার, পারা, গিনি, জাম্বু জাতীয় ঘাস চাষ করা যেতে পারে। তাছাড়া ইপিল—ইপিল, ধইঞ্চা, অড়হর জাতীয় গুল্মও ভেড়া খেয়ে থাকে।
ভেড়ার দানাদার খাদ্য
সাধারণত সবুজ ঘাসের পাশাপাশি ভেড়ার খাদ্য হিসেবে গমের ভুষি, চালের কুড়া, মাসকলাই, খেসারী, মটর ইত্যাদির ভুষি এবং বিভিন্ন ধরনের খৈল, ফিসমিল বা মাছের গুড়া, খনিজ লবন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদির মিশ্রণ দানাদার খাদ্য হিসাবে সবরবরাহ করা হয়ে থাকে। দানাদার খাদ্য মিশ্রণের তালিকা টেবিলে দেয়া হলো-
খাদ্য উপাদান | বাচ্চা ভেড়া (৩-৬ মাস) | বাড়ন্ত ভেড়া(৭-১৫মাস) | বয়স্ক ভেড়া (১৫ মাস+) |
চাল/গম/ভূট্টা ভাঙ্গা | ৩০ | ১৫ | ১০ |
ডালের গুড়া | ৫ | – | – |
গমের ভুষি/চালের কুড়া | ২৯ | ৪৯ | ৫০ |
মাসকলাই/খেসারী ডালের ভুষি | ৫ | ১৫ | ১৫ |
খৈল (তিল/সয়াবিন/সরিষা) | ২৫ | ২০ | ২০ |
শুটকি মাছের গুড়া/প্রোটিন কনসেনট্রেট | ২.৫ | ১ | ১ |
ডাই ক্যালসিয়াম ফসফেট/ঝিনুকের গুড়া | ২ | ২ | ২ |
খনিজ লবন | ১ | ১.৫ | ১.৫ |
ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স | ০.৫ | ০.৫ | ০.৫ |
সর্বমোট | ১০০ | ১০০ | ১০০ |
ভেড়াকে কি ইউএমএস খাওয়ানো যায়?
খড়ের সাথে পরিমাণমত ইউরিয়া ও মোলাসেস মিশ্রিত করে ভেড়াকে খড়ের পরিবর্তে ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র খাওয়ানো যায়। ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ টেবিলে উপস্থাপন করা হলো-
মোট খড়ের পরিমাণ | পানি | ইউরিয়ার পরিমাণ | মোলাসেসের পরিমাণ |
৫ কেজি | ২.৫-৩.৫ লিটার | ১৫০ গ্রাম | ১.০৫-১.২ কেজি |
১০ কেজি | ৫-৭ লিটার | ৩০০ গ্রাম | ২.১-২.৪ কেজি |
প্রথমে খড়কে ১.৫-৩.০ ইঞ্চি আকারে কেটে নিতে হবে। তারপর খড়, ইউরিয়া, পানি ও মোলাসেস পরিমাণমত আলাদা আলাদা ভাবে মেপে নিতে হবে। এবার পানিতে প্রথমে ইউরিয়া মেশাতে হবে। তারপর ঐ মিশ্রণে মোলাসেস ভাল ভাবে মিশাতে হবে। এবার নির্দিষ্ট পরিমাণ খড় পলিথিনের উপর বিছাতে হবে এবং ইউরিয়া-মোলাসেস-পানির মিশ্রণ খড়ের উপর ছিটিয়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন খড়ের উপর ইউরিয়া মোলাসেস—পানির মিশ্রণ সমভাবে ছিটানো হয় এবং খড় ভালোভাবে উলটপালট করে মিশানো হয়। |
ভেড়ার বাচ্চার মিল্ক রিপ্লেসার/বিকল্প দুধ
মা ভেড়া হতে একাধিক বাচ্চা জন্মালে বা মা ভেড়া হতে দুধ উৎপাদন কম হলে বাচ্চা ভেড়াকে বিকল্প দুধ সরবরাহ করতে হয়। তাছাড়া বিকল্প দুধ বাচ্চা ভেড়াকে সম্পূরক খাদ্য হিসাবেও সরবরাহ করা যেতে পারে। বিকল্প দুধের উপাদান সমূহ টেবিলে উপস্থাপন করা হলো-
উপকরণ | পরিমাণ % |
গুড়া দুধ | ৭০ |
চাল/গম/ভূট্টা ভাঙ্গা | ২০ |
সয়াবিন তৈল | ৭ |
খনিজ লবন | ১.৫ |
ডাই ক্যালসিয়াম ফসফেট/ঝিনুকের গুড়া | ১.৫ |
ভিটামিন-মিনারেল প্রিমিক্স | ০.৫ |
সর্বমোট | ১০০ |
উক্ত মিশ্রণের ১ ভাগের সাথে ৯ ভাগ পানি মিশাতে হবে। পানিকে অন্তত ৫ মিনিট ফুটিয়ে পুণরায় কুসুম গরম অবস্থায় ঠান্ডা করে বিকল্প দুধ তৈরী করতে হবে। বাচ্চা জন্মের পর থেকে প্রতিদিন ৩০০ গ্রাম করে দুধ বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। |
বাচ্চা ভেড়ার খাদ্য ব্যবস্থাপনা
গভার্বস্থা হতেই বাচ্চার পুষ্টি ব্যবস্থাপনা শুরু হয়। ভেড়ার গর্ভধারণকাল ১৪৫—১৪৮ দিন। গর্ভের শেষ ২ মাস মা ভেড়াকে পযার্প্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। এতে বাচ্চা সবল ও পুষ্ট হয় এবং জন্মের পর পযার্প্ত দুধ পায়। জন্মের সাথে সাথে বাচ্চার মুখ ও নাক শুকনো পরিষ্কার সূতি কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব মায়ের শাল দুধ খাওয়াতে হবে। শাল দুধ জন্মের আধা ঘন্টার মধ্যে খাওয়ানো হলে ইহা অধিক কার্যকর হয়। শাল দুধ বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি দিয়ে থাকে। একাধিক বাচ্চা জন্মালে সকল বাচ্চাই যেন শাল দুধ পায় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। বয়স ভেদে বাচ্চার প্রয়োজনীয় খাদ্যের পরিমাণ টেবিলে উপস্থাপন করা হলে।
বয়স (সপ্তাহ) | ওজন (কেজি) | দৈনিক খাদ্য সরবরাহ (গ্রাম) | |||
মায়ের দুধ (সাকলিং/বিকল্প দুধ) | দানাদার খাদ্য | কঁচি ঘাস/লতা-পাতা | ইউএমএস বা প্রক্রিয়াজাত ঘাস | ||
০ | ১.৫ | ২৯০ | – | – | – |
১ | ২.০ | ৩৬০ | – | – | – |
২ | ২.৪ | ৪১০ | ১০ | সামান্য পরিমাণ | – |
৩ | ২.৮ | ৪৬০ | ১০ | সামান্য পরিমাণ | – |
৪ | ৩.১ | ৫০০ | ১৫ | সামান্য পরিমাণ | – |
৫ | ৩.৬ | ৫৬০ | ২০ | ১০০ | – |
৬ | ৪.০ | ৬০০ | ২৫ | ১৫০ | সামান্য পরিমাণ |
৭ | ৪.৪ | ৬০০ | ৩০ | ১৫০ | সামান্য পরিমাণ |
৮ | ৪.৭ | ৬০০ | ৩০ | ১৫০ | ৩০ |
৯ | ৫.০ | ৫৫০ | ৪০ | ১৭৫ | ৩০ |
১০ | ৫.৪ | ৫০০ | ৫০ | ২০০ | ৩০ |
১১ | ৫.৭ | ৪৫০ | ৭৫ | ২৫০ | ৩০ |
১২ | ৬.১ | ২০০ | ৯০ | ৩০০ | ৪০ |
১৩ | ৬.৫ | ১০০ | ১৫০ | ৩৫০ | ৫০ |
১৪ | ৬.৯ | ১০০ | ২০০ | ৪০০ | ৭০ |
১৫ | ৭.৩ | – | ২০০ | ৪৫০ | ৭০ |
১৬ | ৭.৭ | – | ২০০ | ৫০০ | ১০০ |
- জন্মের পর বাচ্চার দৈনিক ৩০০ এমএল শাল দুধ প্রয়োজন।
- প্রতিটি বাচ্চাকে ৪ সপ্তাহ বয়সে ৫০০ এমএল করে দুধ খাওয়াতে হবে।
- বাচ্চার দুধ নির্ভরশীলতা কমাতে ২ সপ্তাহ থেকে সামান্য পরিমাণে কচি ঘাস ও দানাদার খাদ্য খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে।
বাড়ন্ত ভেড়ার খাদ্য ব্যবস্থাপনা
বাড়ন্ত ভেড়া বলতে ৪—১৫ মাস বয়সী ভেড়াকে বুঝানো হয়।
ভেড়া এ সময়ে পুষ্টি সরবরাহ কম পায়। কেননা, এ সময়ে মা ভেড়া হতে দুধ পায় না এবং নিজস্ব খাদ্য গ্রহণের হারও কম থাকে। ভেড়া লালন পালনে এ সময়টা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসময়েই ভেড়ার মূল শারীরিক গঠন হয়ে থাকে। এ সময়কালে পযার্প্ত পুষ্টি না পেলে ভেড়ার প্রকৃত বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়, উৎপাদনশীলতা কমে এমনকি মৃত্যু ঝুকি বেড়ে যেতে পারে। ফলে ভেড়া পালনের মূল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হতে পারে যা খামারের আয় বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তাছাড়া বাড়ন্ত স্ত্রী ভেড়া ৭ম মাসের মধ্যেই প্রজননক্ষম হয়ে যায় যা সঠিক পুষ্টি সরবরাহ না পেলে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সুতরাং বাড়ন্ত ভেড়াকে পযার্প্ত পরিমাণে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। বাড়ন্ত ভেড়ার খাদ্যের তালিকা টেবিলে উপস্থাপন করা হলো।
বয়স (মাস) | ওজন (কেজি) | দৈনিক খাদ্য সরবরাহ (গ্রাম) | ||||
পানি (মি.লি.) | দানাদার খাদ্য | কঁচি ঘাস/লতা-পাতা | ইউএমএস বা প্রক্রিয়াজাত ঘাস | |||
৪ | ৮.০ | ৫০০ | ২৫০ | ৪০০ | ১০০ | |
৫ | ৯.৩ | ৫০০ | ৩০০ | ৫০০ | ১০০ | |
৬ | ১১.৫ | ৫০০ | ৩০০ | ৫৫০ | ১০০ | |
৭ | ১৩.২ | ৫০০ | ৩০০ | ৬২০ | ১০০ | |
৮ | গর্ভবতী | ১৫ | ৬০০ | ৩০০ | ৭৫০ | ১০০ |
৯ | ১৬.৮ | ৬০০ | ৩০০ | ৮০০ | ১০০ | |
১০ | ১৮.৬ | ৬০০ | ৩৫০ | ৮০০ | ১০০ | |
১১ | ২০.৪ | ৭০০ | ৪০০ | ৮০০ | ১০০ | |
১২ | ২২.২ | ৮০০ | ৪৫০ | ৮০০ | ১০০ | |
১৩ | ২২.২ | ৮০০ | ৪৫০ | ৮০০ | ১০০ | |
১৪ | গর্ভবতী | ২৩.০ | ৮০০ | ৪৫০ | ৮০০ | ১০০ |
১৫ | ২৪.০ | ৮০০ | ৪৫০ | ৮০০ | ১০০ |
প্রজনন যোগ্য পাঁঠা ভেড়ার খাদ্য ব্যবস্থাপনা
প্রজনন যোগ্য পাঁঠা ভেড়ার খাদ্য ব্যবস্থাপনা একটি খামারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেনন পাঁঠা ভাল হলে প্রজণনক্ষম ভেড়া হতে ভালো বাচ্চা উৎপাদন সম্ভব। তাছাড়া সঠিক পাঁঠা নিবার্চন করা গেলে ভেড়ার জিনগত উন্নয়ন সম্ভব। প্রজনন কার্যক্রমে ব্যবহার হবে এমন পাঁঠাকে পযার্প্ত পরিমাণে কাঁচা ঘাস খাওয়াতে হবে। তাছাড়া দৈনিক ৩৫০—৫০০ গ্রাম প্রোটিন সমৃদ্ধ দানাদার খাদ্য প্রদান করতে হবে।
গাঁজানো ছোলা খাওয়ানো হলে পাঁঠার প্রজনন ক্ষমতার উন্নয়ন ঘটে। এলক্ষ্যে পাঁঠাকে দৈনিক ১০ গ্রাম গাঁজানো ছোলা খাওয়ানো যাবে। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার দেয়া যাবে না। তাছাড়া বছরে ২বার ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শক্রমে কৃমিনাশক ও ভিটামিন প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে ভিটামিন এ.ডি.ই. অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
[…] Previous Next […]
[…] ভেড়া পালন করে। ভেড়া রাতের বেলা গরু—ছাগলের ঘরে অবস্থান করে এবং দিনের বেলা মাঠে, […]