জিএনপি ও অর্থনৈতিক কল্যাণ (মানব কল্যাণ)

GNP and Economic Welfare (Human Welfare)

পূর্বের বছরের তুলনায় চলতি বছরে GNP বৃদ্ধি পেলে তাকে GNP প্রবৃদ্ধি বলা হয়। পূর্বের কোন ভিত্তি বছরের তুলনায় চলতি বছরে GNP বৃদ্ধির শতকরা হারকে GNP প্রবৃদ্ধি হার বলা হয়। অন্যদিকে, মানুষের ভোগব্যয়, জীবনযাত্রার মান, সুখ-শান্তি ইত্যাদি যদি আগের থেকে বাড়ে, তাহলে বলা যায় অর্থনৈতিক কল্যাণ বেড়েছে।

GNP প্রবৃদ্ধির সাথে অর্থনৈতিক কল্যাণের সম্পর্ক রয়েছে। সাধারণতঃ মনে করা হয় যে, GNP প্রবৃদ্ধি বেশি হলে অর্থনৈতিক কল্যাণ বেশি হবে। এছাড়া যে দেশের GNP এর আয়তন এবং মাথাপিছু GNP বেশি সে দেশের অর্থনৈতিক বা সামাজিক কল্যাণও তত বেশি। এজন্যই GNP প্রবৃদ্ধিকে অর্থনৈতিক কল্যাণের অণ্যতম সূচক কিংবা মাপকাঠি বলা হয়। কারণ –

১। GNP বাড়লে দেশের উৎপাদন বাড়ে

২। GNP বাড়লে সামগ্রিক ভোগব্যয় ও কল্যাণ বাড়ে

৩। GNP বৃদ্ধি পেলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পায়।

৪। GNP বৃদ্ধি পেলে কর্মসংস্থান বাড়ে এবং দারিদ্র্য ও বেকারত্ব হ্রাস পায়।

৫। GNP বৃদ্ধি পেলে দেশের অর্থসামাজিক অবকাঠামো উন্নত হয়।

৬। GNP বৃদ্ধি পেলে বিনিযোগ বৃদ্ধি পায় এবং তা গুণক প্রক্রিয়ায় জাতীয় আয়কে বহুগুণে বৃদ্ধি করে।

উপরোক্ত কারণগুলির জন্য GNP প্রবৃদ্ধিকে অর্থনৈতিক কল্যাণের সূচক বা মাপকাঠি মনে করা হয়।

GNPএর বৃদ্ধি কি অর্থনৈতিক কল্যাণ / মানব কল্যানের ভাল সূচক?

Is GNP growth a good indicator of economic/human welfare?

অর্থনৈতিক কল্যাণের ব্যাপকতা বিশাল। এর সর্বজন স্বীকৃত কোন সন্তোষজনক সংজ্ঞা নাই। তবে মোটামুটিভাবে জাতীয় কল্যাণকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের ভোক্তাদের কাম্যতা সৃষ্টিকারী দ্রব্য ও সেবা (Goods and services) এর পরিমান দিয়ে পরিমাপ করা হয়। এই ধরণের দ্রব্য় ও সেবা (Goods and services) এর উৎপাদানকে ভোগব্যয় ও বিনিয়োগ ব্যয়ের যোগফল দিয়ে পরিমাপ করা হয়। এই সংজ্ঞা অনুসরণ করলে বলা যায় যে, জাতীয় আয় যত বেশি হবে জাতীয় কল্যান তত বেশি হবে।

কিন্তু প্রশ্ন হল – প্রকৃতপক্ষে জাতীয় আয়ের সকল অংশই কি জনকল্যাণমূখী? এবং জাতীয় আয়ের বাইরেও কি জনকল্যানমূলক আয় থাকতে পারে না?

নিম্নে আমরা উদাহরণের সাহায্যে প্রশ্নদ্বয়ের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করব।

জাতীয় আয় হিসাব করার সময় গৃহিনীদের নিজ ঘরের কাজ এবং স্বামীদের বাড়ির কাজ জাতীয় আয়ের অন্তর্ভূক্ত হয় না। (এটি জাতীয় আয় গণনার সমস্যা।) কিন্তু বাস্তবে এই উভয় কাজই পারিবারিক কল্যাণের সাথে সাথে জাতীয় কল্যাণও বৃদ্ধি করে – এই উভয় ধরণের কাজ দ্বারাই পরিবারের কাম্যতা বৃদ্ধি পায়। তাহলে বুঝা যাচ্ছে জাতীয় আয় দ্বারা জাতীয় কল্যাণ বুঝা যায় না। জাতীয় আয় কম হলেও জাতীয় কল্যান বেশি হতে পারে।

পক্ষান্তরে, জাতীয় আয়ের মধ্যে এমন কিছু ব্যয় আছে যা অনেকের মতে জাতীয় কল্যাণ সাধন করে না। যেমন ধরা যাক সামরিক খাতের ব্যয়। এই ব্যয় দ্বারা জনগণের বস্তুগত কল্যাণ (Material welfare) বাড়ানো হয় না। কাজেই জাতীয় আয় বেশি হলেও যদি তার মধ্যে সামরিকখাতে ব্যয় বেশি হয় তাহলে জাতীয় কল্যাণ জাতীয় আয়ের চেয়ে অনেক কম হবে।

একটা অর্থনীতিতে মোট জাতীয় আয় যদি বাড়ে কিন্তু সম্পদ যদি কিছু ব্যক্তির হাতে কুক্ষিগত থাকে, তাহলে আয়ের সুষম বন্টন হবে না। আয়ের সুষম বন্টন না হলে জাতীয় আয় যতই বাড়ুক অধিকাংশ মানুষের ব্যয়যোগ্য আয় বাড়বে না, কল্যানও বাড়বে না, ফলে জাতীয় কল্যাণও বাড়বে না, বরং কমতেও পারে।

তা ছাড়া শুধুমাত্র উৎপাদনের পরিমান দ্বারা জাতীয় কল্যাণ নির্ণয় করা যায় না। জাতীয় কল্যাণ নির্ধারণের জন্য উৎপাদনে নিয়োজিত “মানবীয় খরচ (Human cost)” যদি উৎপাদন বাড়ার তুলনায় বেশি হারে বাড়ে তাহলে জাতীয় কল্যাণ কম হবে। এখানে মানবীয় খরচ বলতে পরিশ্রম বুঝাচ্ছি। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় উৎপাদন ৫% বাড়ল, কিন্তু তার জন্য পরিশ্রম যদি ১০% বাড়ে তাহলে কল্যাণ না বেড়ে বরং কম হবে।  জাতীয় উৎপাদন যদি স্থিরও থাকে, কিন্তু বিশ্রাম যদি বাড়ে, অর্থাৎ আগের চেয়ে কম পরিশ্রমে যদি আগের মত উৎপাদন করা সম্ভব হয় তাহলে জাতীয় কল্যান বৃদ্ধি পাবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় উৎপাদন বাড়ল না, কিন্তু পরিশ্রম যদি পরিশ্রম আগের তুলনায় ৫% কমল, তাহলে কল্যাণ আগের থেকে বেড়ে যাবে।

উপরন্তু, উৎপাদনের পরিমান বৃদ্ধি না পেলেও জনগণের মধ্যে আইন-শৃংখলাজনিত শান্তি কায়েম করা হলে, হিংসাত্মক ও অপরাধমূলক কাজ দূর করা গেলে, বিচার ব্যবস্থা উন্নত হলে, সবার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রসারিত হলে জাতীয় কল্যাণ বৃদ্ধি পাবে।

উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, GNP বাড়লেই অর্থনৈতিক কল্যাণ বাড়ে একথা বলা সম্পূর্ণ ঠিক হবে না। অন্যভাবে বলা যায়, GNP বৃদ্ধি অর্থনৈতিক কল্যাণের সঠিক মাপকাঠি নয়। কারণ –

১। GNP অর্থনৈতিক কল্যাণের অনেকগুলি উপাদানের মধ্যে একটি উপাদান মাত্র; একমাত্র উপাদান নয়। তাই, অন্যান্য উপাদান প্রতিকূলে থাকলে  জিএনপি বৃদ্ধি পেলেও অর্থনৈতিক কল্যাণ বৃদ্ধি নিশ্চত করে ন না।

২। GNP বাড়লেও যদি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল থাকে এবং সামাজিক শান্তি-শৃংখলা বজায় না থাকে তাহলে মানব কল্যান অর্জিত হবে না, বরং হ্রাস পাবে।

৩। দেশের আর্থসামাজিক অবকাঠামো উন্নত না হলে GNP বাড়লেও অর্থনৈতিক কল্যাণ বাড়বে না।

৪। GNP বাড়লেও তা যদি সঠিকভাবে বন্টিত না হয় তাহলে দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ে যা অর্থনৈতিক কল্যাণকে না বাড়িয়ে বরং কমিয়ে দেয়।

৫। GNP প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে গিয়ে যদি প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয় তালেও সে প্রবৃদ্ধি মানব কল্যানের পরিপন্থি।

উপরোক্ত কারণে GNP বৃদ্ধি পেলে অর্থনৈতিক কল্যান বৃদ্ধি পাবে তা বলা যায় না। উদাহরণস্বরূপ কাতারের  GNP ও মাথাপিছু GNP ইউরোপের অনেক দেশের চেয়ে বেশি হলেও কাতারের জনগণের চেয়ে ইউরোপের জনগণের অর্থনৈতিক কল্যাণ বেশি। সুতরাং নিশ্চিতভাবে বলা যায়, জিএনপি বৃদ্ধি অর্থনৈতিক কল্যাণের সঠিক মাপকাঠি  (Index) নয়।

GNP প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে গিয়ে যদি প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক ও নৈতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে তা মানব কল্যানের পরিপন্থি।

নীট অর্থনৈতিক কল্যাণ (Net Economic Welfare or NEW)

অর্থনৈতিক কল্যাণ পরিমাপে GNP সঠিক পরিমাপক নয়। কেননা, GNP এর হিসাবে এমন কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা মানুষের অর্থনৈতিক কল্যাণে কোন অবদান রাখে না। আবার GNP গণনায় এমন কিছু উপাদান বাদ দেওয়া হয় যা অর্থনৈতিক কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

তাই আধুনিক অর্থনীতিবিদগণ GNPএর হিসাবে কিছুটা সংযোজন-বিয়োজন করে GNP এর অর্থবহ পরিমাপক নির্ণয়ের চেষ্টা করেছেন। যা সামষ্টিক অর্থনীতিতে “নীট অর্থনৈতিক কল্যণ” (Net Economic Welfare or NEW) নামে পরিচিত। একে আবার অর্থনৈতিক কল্যাণ পরিমাপক (Measure of Economic Welfare or MEW) বলা হয়।  MEW ধারণার প্রবর্তক আমেরিকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই জন অধ্যাপক নরডুস ও টোবিন। তাদের মতে কাজ ও বিশ্রামের মধ্যে উপযুক্ত সমন্বয়, জনগণের প্রত্যাশিত আয়ু বৃদ্ধি, শিশুমৃত্যু হার রোধ, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুব্যবস্থা, সম্পদের উপযুক্ত বন্টন ও ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ এবং মাথা পিছু GNP  বৃদ্ধি ও সুষ্ঠ বন্টন প্রক্রিয়া নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব।

আর সেই কল্যাণের পরিমাপ GNP দ্বারা এককভাবে সম্ভব নয়। তাই এক্ষেত্রে NEW বিবেচনা করতে হবে। NEW পরিমাপের জন্য নিম্নোক্ত সংযোজন ও বিয়োজনসমুহ GNPএর সাথে সমন্বয় করতে হবে।

সংযোজন (Pluses)

১। বস্তুগত দ্রব্য ও সেবা থেকে মানুষ যেমন উপযোগ পায় ঠিক তেমনি উপযোগ পায় বিশ্রাম থেকে। কাজেই GNPএর হিসাবের সাথে বিশ্রামকে অন্তর্ভূক্ত করা উচিত।

২। ব্যক্তি যখন নিজের কাজ নিজে করে সেখান থেকেও সে উপযোগ পায়। তাই সেসব কাজের সম্ভাব্য মূল্য GNPএর হিসাবে যোগ করতে হবে। যেমন গৃহিনীর শ্রমের মূল্য, নিজের বাচ্চাকে টিউটর দিয়ে না পড়িয়ে নিজে পড়ালে তার মূল্য ইত্যাদি।

৩। এমন কিছু কাজ আছে যেগুলি আইনবিরোধী নয় আবার রেকর্ডভূক্তও নয়। কিন্তু GNPএর হিসাবে সেগুলি রেকর্ডভূক্ত হওয়া উচিত। যেমন ডাক্তারের ব্যক্তিগত পর্যায়ে উপার্জিত অর্থ, শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা থেকে প্রাপ্ত অর্থ, মিস্ত্রির ব্যক্তিগত পর্যায়ে উপার্জিত অর্থ, কৃষকের নিজ ভোগে ব্যবহৃত ফসলের মূল্য ইত্যাদি আইনবিরোধী নয়।অথচ রেকর্ডভূক্ত হওয়ার যোগ্য। এরূপ দ্রব্য ও সেবার মূল্য GNPতে অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় যোগ্য। এরূপ দ্রব্য ও সেবার মূল্য GNPতে অন্তর্ভূক্ত হওয়া প্রয়োজন।

বিয়োজন (Minuses)

GNPএর হিসাবে যেসব দ্রব্য ও সেবার মূল্য অন্তর্ভূক্ত হয়, সেগুলির দ্বারা পরিবেশ দুষিত হতে পারে, তার জন্য যে লুক্কায়িত খরচ (Hidden cost) বা সামাজিক ব্যয় (Social cost) হয় তা সমাজ বা রাষ্ট্রকে বহন করতে হয়, তা অবশ্যই GNPতে বিবেচনা করতে হবে। অর্থাৎ GNP হিসাবের থেকে বিয়োজন করতে হবে।

সুতরাং GNP এর হিসাবের সাথে Underground এই হিসাবগুলি সংযোজন-বিয়োজন করে যা পাওয়া যাবে, তাকে “অর্থনৈতিক কল্যাণ পরিমাপক” (MEW)  কিংবা “নীট অর্থনৈতিক কল্যাণ” (NEW) বলা যাবে।

বাংলাদেশের জিএনপি ও মানব কল্যান সূচক

GNP and Human Development Index of Bangladesh

১। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের GNP ছিল ১১০৬০১.১৮২ বিলিয়ন ইউএস ডলার ২০১৯ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৬০৯১.৬৮৬ বিলিয়ন ইউএস ডলারে। এক্ষেত্রে ক্রমসঞ্চিত প্রবৃদ্ধি ১৮৫.৭৯%। (সূত্রঃ https://www.ceicdata.com/en/indicator/bangladesh/gross-national-product)

২। মানব কল্যান সূচকে সর্বোচ্চ মান ১ এর ভিত্তিতে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের মান ০.৬৩, যা ২০০৯ সালে ছিল ০.৫৪। এক্ষেত্রে ক্রমসঞ্চিত প্রবৃদ্ধি হয়েছ ১৮.৮৭%। (সূত্রঃ https://knoema.com/atlas/Bangladesh/topics/World-Rankings/World-Rankings/Human-development-index

৩। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে শিশু মৃত্যু হার ছিল প্রতি হাজারে ৪০.৫ জন, ২০১৯ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি হাজারে ২৫.৬ জনে। অর্থাৎ, এক দশকে শিশু মৃত্যু হার কমেছে ৩৬.৭৯%। (সূত্রঃ https://www.statista.com/statistics/806665/infant-mortality-in-bangladesh/)

৪। ২০০৭ সালে বাংলাদেশে মাতৃ মৃত্যু হার ছিল প্রতি লক্ষে ২৯৭ জন, ২০১৭ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি লক্ষে ১৭৩ জনে। অর্থাৎ, এক দশকে মাতৃ মৃত্যু হার কমেছে ৪১.৭৫%। (সূত্রঃ https://data.worldbank.org/indicator/SH.STA.MMRT?locations=BD)

৫। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু (Life Expectancy at Birth) ছিল ৬৯.৪৯ বছর। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২.৫৯ বছরে। (সূত্রঃ https://knoema.com/atlas/Bangladesh/topics/Demographics/Age/Life-expectancy-at-birth)

৬। এত সব উন্নয়ন সত্ত্বেও বাংলাদেশে প্রচুর সুযোগ রয়েছে পরিবেশ উন্নয়নের। মানুষের অসচেতনতা ও রাতারাতি অর্থ-সম্পেদের মালিক হওয়ার লোভের কারণে প্রতি নিয়ত কলুষিত হচ্ছে। ছবিতে শুকনা মওসুমে বুড়িগঙ্গার পানি দেখা যাচ্ছে আলকাতরার মত।

জিএনপি ও অর্থনৈতিক কল্যাণ

শুকনা মওসুমে বুড়িগঙ্গার পানি

ছবি সুত্রঃhttps://ars.els-cdn.com/content/image/1-s2.0-S2405844021002127-gr5.jpg)

৭। World Bank রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে প্রায় ২৮% মৃত্যুর কারণ বিভিন্ন প্রকার দূষণ যা কিনা ওই সময়ের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ১০ গুন। ওই একই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রকার দূষণ ও শহরাঞ্চলের পরিবেশ অবক্ষয়ের কারণে প্রতিবছর ৬.৫ বিলিয়ন ইউএস ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়। (সুত্রঃ https://www.worldbank.org/en/news/feature/2018/09/16/clean-and-resilient-growth-in-bangladesh)