Table of Contents

ছাগল পালন ব্যবস্থাপনা

বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রধানত ২ পদ্ধতিতে ছাগল পালন করা হয় – সাধারণ বা পারিবারিক পদ্ধতি (ক্ষুদ্র পারিবারিক খামার) ও বিশেষ পদ্ধতি – (মাঝারি ও বৃহৎ বানিজ্যিক খামার।

সাধারণ বা ক্ষুদ্র পারিবারিক পদ্ধতিতে ছাগল পালন

ক্ষুদ্র পারিবারিক পদ্ধতিতে ছাগল পালনের ক্ষেত্রে সাধারণত ১ – ৫টি ছাগল পালন করা হয়। এই পদ্ধতিতে অল্প ছাগল দিনের বেলায় বাড়ির আঙিনায়, রাস্তার পাশে, নদীর পাড়ে বা মাঠে চরিয়ে রাতের বেলায় মানুষের বসতঘরে, বসত ঘরের বারান্দায়, রান্না ঘরে, ঘর সংলগ্ন ছোট চালা ঘরে পালন করা হয়। কাঁচা ঘাসের সাথে রান্না ঘরের তরকারীর খোসা, লতাপাতা ইত্যাদিও খাওয়ানো হয়। দানাদার খাবার খুব কম পরিমানে খাওয়ানো হয়। ভাতের মাড়, চালের কুড়া, গমের ভূষি ব্যাতীত অন্য কোন দানাদার উপাদান প্রায়ই দেয়া হয় না।

পারিবারিকভাবে লালন পালন করা হয় বলে বাড়তি জনবল প্রয়োজন হয় না বা জনবল বাবদ খরচ হিসাব করা হয় না। আলাদা জমিরও প্রয়োজন হয় না বিধায় এই পদ্ধতিতে ছাগল পালন ক্ষুদ্র পরিসরে অত্যন্ত লাভজনক।  গ্রামীন দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষ করে বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, দুস্থ ও বয়স মতিলাদের জন্য এই পদ্ধতিতে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পালন জীবন জীবিকার অন্যতম অবলম্বন।

বাচ্চা ছাগল পালন ব্যবস্থাপনা

 মায়ের দুধ ছাড়ানোর পূর্বে বাচ্চা ছাগল পালন ব্যবস্থাপনা

ছাগল ছানা

  • যেসব বাচ্চা দুর্বল উষ্ক খুষ্ক তাদেরকে মায়ের দুধের পাশাপাশি মাল্টিভিটামিন মিনারেল ও পর্যাপ্ত পরিমানে স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
  • দুধ বন্ধ করানোর পূর্বেই বাচ্চাকে দানাদার ও আঁশ জাতীয় খাবারের সাথে অভ্যস্থ করতে হবে।
  • যে সব বাচ্চাকে বোতলে দুধ খাওয়ানো হয় সকল পর্যায়ে পরিস্কার পরিচছন্নতা বজায় রাখতে হবে এবং ঠান্ডা দুধ খাওয়ানো যাবে না।
ক্ষুদ্র খামারে বাচ্চাকে দুধ ছাড়ানো (Weaning)
  • ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের বাচ্চা ৩-৪ মাসের মধ্যে দুধ ছেড়ে দেয়।
  • ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের বাচ্চা সাধারণত ৩-৪ মাস বয়সে ৩-৪ কেজি ওজন হয়। এই সময় তাদের ঘাস জাতীয় খাদ্য হজম করার সক্তি পুরোপুরি হয় না।
  • পাঁঠা বাচ্চাকে মায়ের দুধ ছাড়ানোর পর থেকেই আলাদা রাখতে হয়।
ছাগল ছানার কলস্ট্রাম ও দুধ খাওয়ানো

জন্মের পরপরই ছাগল ছানাকে কলস্ট্রাম বা শাল দুধ খাওয়াতে হবে। প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ছাগল ছানাকে ১৫০-২০০ গ্রাম শাল দুধ খাওয়াতে হবে। এ পরিমান দুধ দিনে৮-১০ বারে খাওয়াতে হবে। শাল দুধ খাওয়াতে দেরি হলে হজমে সমস্যা হয়।

জন্ম হতে তিন মাস পর্যন্ত ছাগল ছানাকে নিম্নোক্ত হারে খাদ্য প্রদান করতে হবে।

বয়স (সপ্তাহ)

প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য দুধের পরিমানপ্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য দানাদার খাদ্যের পরিমান

কাঁচা ঘাস

০-২

২০০ গ্রামসামান্য পরিমানসামান্য পরিমান
৩-৪১৫০ গ্রামসামান্য পরিমান

সামান্য পরিমান

৫-৬

১৫০ গ্রাম২০ গ্রামসামান্য পরিমান
৭-৮১৩০ গ্রাম৪০ গ্রাম

চাহিদা অনুযায়ী

৯-১০

১১০ গ্রাম৬০ গ্রামচাহিদা অনুযায়ী
১১-১২১০০ গ্রাম১০০ গ্রাম

চাহিদা অনুযায়ী

 

ছাগলের বাচচাকে মিল্ক রিপ্লেসার বা বিকল্প দুধ খাওয়ানো 

ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের একটি ছাগী এক সাথে ৩-৪টি বাচ্চা প্রসব করে। কিন্তু ছাগীর দুধের বাট ২টি হওয়ায় সবগুলি বাচ্চা একসাথে মায়ের দুধ খেতে পারে না। ফলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল বাচ্চা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। আবার ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগীদ দুধ উৎপাদন ক্ষমতা কম বিধায় বাচ্চা বেশি হলে মায়ের দুধ থেকে তাদের পুষ্টি চাহিডা পূরণ হয় না। এক্ষেত্রে ছাগল ছানাকে নিম্নোক্ত মিশ্রন অনুযায়ী মিল্ক রিপ্লেসার খাওয়ানো যেতে পারে।

 

উপকরণ

পরিমান (%)

ননী মুক্ত গুড়া দুধ (স্কিমড মিল্ক) পাউডার

৭০

চাল, গম বা ভূট্টার গুড়া

২০

সয়াবিন তেল

লবন

১.৫

ডাইক্যালসিয়াম ফসফেট

ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স

০.৫

উক্ত মিশ্রনের একভাগ, নয় ভাগ উষ্ণ (৩৯-৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস) পানির সাথে ভালমত ফুটানোর পর ঠান্ডা করে ছাগল ছানাকে খাওয়াতে হবে।

ক্ষুদ্র বা পারিবারিক খামারে দুগ্ধবতী ছাগল পালন ব্যবস্থাপনা

দুগ্ধ দোহন
  • ভালো ব্যবস্থাপনায় ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বাচ্চাকে খাওয়ানোর পরও দৈনিক ৫০০-১০০০ গ্রাম দুধ পাওয়া যেতে পারে।
  • যেসব ছাগী পর্যাপ্ত দুধ দেয় তাদেরকে নিয়মিত দুধ দোহন করলে দুধের উৎপাদন বাড়ে।
  • দুধ দোহনের পূর্বে ছাগলকে একটি পরিস্কার জায়গায় কিছু দানাদার খাদ্য বা আকর্ষনীয় কাঁচা ঘাস পাতা দেওয়া উচিৎ।
  • দুধ দোহনের পূর্বে দুই হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার গামছা বা পরিস্কার কাপড় দিয়ে মুছে নেওয়া উচিৎ।
  • ছাগলের ওলানকে পর্যায়ক্রমে পিছন থেকে সামনের দিকে মালিশ করতে হবে।
  • দুধ দোহনের সময় বাঁটের গোড়ায় আটকে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও কনিষ্ঠ আঙ্গুল দিয়ে ধীরে ধীরে চাপ দিয়ে বাঁটের সম্পূর্ণ দুধ বের করতে হবে।

দুগ্ধবতী ছাগলের সাধারণ পরিচর্যাসমুহ

  • ছাগলকে প্রতিদিন সকালে ঘর থেকে বের করে খোয়াড়ে কিংবা ঘরের আশেপাশে খোলা যায়গায় চরতে দিতে হবে।
  • এদেরকে ব্যায়াম ও গায়ে সূর্য কিরণ লাগানোর পর্যাপ্ত সুযোগ প্রদান করতে হবে।
  • ঘর থেকে ছাগল বের করার পর ঘর ভালোভাবে পরিস্কার কওরতে হবে।
  • ছাগলকে সুষম খাবার সরবরাহ করতে হবে।
  • প্রতিটি ছাগলকে আলাদাভাবে দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
  • পাতাসহ আম কাঁঠালের ডাল ঝুলিয়ে সরবরাহ করতে হবে।
  • ছাগল পানিতে ভিজতে পছন্দ করে না। তাই নিয়মিত গোসলের পরিবর্তে ব্রাশ দিয়ে ঘষে দেহ পরিস্কার করতে হয়।
  • প্রতিডিন নির্দিষ্ট সময়ে দুগ্ধবতী ছাগীর দুধ দোহন করতে হবে।
  • কোন ছাগলের মধ্যে অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে পৃথক করে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করতে হবে।
  • সকল বয়সের ছাগলকে নিয়মিত কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে ও টিকা দিতে হবে।

বিশেষ পদ্ধতিতে ছাগল পালন

বেশি পরিমানে বা বড় আকারে খামার করে বানিজ্যিক ভিত্তিতে ছাগল পালন করতে সাধারণ পারিবারিক ক্ষুদ্র খামারে ছাগল পালন অপেক্ষা বেশি যত্ন বা উন্নত ব্যবস্থাপনার  প্রয়োজন হয়। সেমি ইনটেনসিভ ও ইনটেনসিভ বা স্টল ফিডিং পদ্ধতিতে বানিজ্যিক খামারে ছাগল পালন করা হয়। সাধারনত নবীন উদ্যোক্তা, তরুন যুবক যুবতী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা আজকাল বিশেষ পদ্ধতিতে ছাগল পালনে উদ্যোগী হয়েছেন।

সেমি ইন্টেনসিভ পদ্ধতিতে ছাগল পালন

সেমি ইন্টেনসিভ বা আধা নিবিড় পদ্ধতিতে খামারে ২০ বা ততোধিক সংখ্যক পালন করা যায়। এ পদ্ধতিতে ছাগলকে দিনের বেলায় প্রাকৃতিক পরিবেশে খামারের নিজস্ব জমিতে চরানো হয় এবং রাতের বেলায় ঘরে আবদ্ধ অবস্থায় রাখা হয়। ছাগলের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য দানাদার খাদ্য ও কাাঁচা ঘাস সরবরাহ করা হয়।

স্টল ফিডিং পদ্ধতিতে ছাগল পালন

স্টল ফিডিং পদ্ধতিতে ছাগলের ঘর – স্টল ফিডিং পদ্ধতিতে পালনের জন্য প্রতিটি বয়স্ক ছাগলের জন্য প্রায় ১০ বর্গ ফুট ঘরের জায়গা প্রয়োজন হয়। ঘরটি বাঁশ, কাঠ বা ইটের তৈরি হতে পারে।

স্টল ফিডিং পদ্ধতিতে ছাগলের বাচ্চার পরিচর্যা – এক মাস বয়স পর্যন্ত ছাগল ছানাকে দিনে ১০-১২ বার দুধ খাওয়াতে হবে। বাচ্চার চাহিদার তুলনায় মা ছাগীতে দুধ কম পাওয়া গেলে অন্য ছাগীর দুধ বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। এছাড়া ছাগীর দুধ পাওয়া না গেলে  বিকল্প দুধ বা মিল্ক রিপ্লেসার খাওয়াতে হবে। এক হতে দেড় কেজি ওজনের একটি ছাগল ছানার দৈনিক ২৫০-৩০০ গ্রাম দুধ প্রয়োজন। ওজন বৃদ্ধির সাথে দুধের পরিমান বৃদ্ধি করতে হবে। বাচ্চার ১ মাস বয়স হতে ধীরে ধীরে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাদ্যে অভ্যস্ত করতে হবে।

স্টল ফিডিং পদ্ধতিতে ছাগলকে খাওয়ানো- ছাগল সাধারণত তার দৈহিক ওজনের ৪-৫% হারে খেয়ে থাকে। একটি বাড়ন্ত খাসীকে দৈনিক ২০০-২৫০ গ্রাম দানাদার খাবার প্রদান করতে হবে। দুই থেকে তিন বাচ্চা বিশিষ্ট ২৫ কেজি ওজনের ছাগীর দৈনিক ৩৫০-৪৫০ গ্রাম দানাদার খাদ্য প্রয়োজন হয়। একটি প্রাপ্ত বয়স্ক পাঁঠার দৈনিক ২০০-৩০০ গ্রাম দানাদার খাদ্য প্রোজন।

স্টল ফিডিং পদ্ধতিতে ছাগলকে ঘাস ও খড় খাওয়ানো

স্টল ফিডিং পদ্ধতিতে একটি বাড়ন্ত খাসীকে দৈনিক ১.০-১.৫ কেজি কাঁচা ঘাস প্রদান করতে হয়। ২ থেকে ৩ বাচ্চা বিশিষ্ট ২৫ কেজি ওজনের ছাগীকে দৈনিক ১.৫-২.৫ কেজি কাঁচা ঘাস এবং একটি প্রাপ্ত বয়স্ক পাঁঠাকে দেনিক ১.৫-২.৫ কেজি কাঁচা ঘাস প্রদান করা প্রয়োজন। ঘাস পাওয়া না গেলে খড়কে ২ – ৩ ইঞ্চি পরিমাপে কেটে ইউরিয়া মোলাসেস দিয়ে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।

ছাগলের প্রজনন ব্যবস্থাপনা

উন্নতমানের ও অধিক উৎপাদনশীল বাচ্চা পেতে হলে ছাগলকে সুপরিকল্পিতভাবে প্রজনন করাতে হবে। ক্রমাগত বাছাই পদ্ধতিতে দলের মধ্যে প্রজনন ঘটিয়ে ছাগলের মান উন্নয়ন করা হয়। বাছাই ক্রিয়ার সময় নিম্নের বিষয়গুলি বিবেচনায় রাখতে হবে।

প্রজনন উপযোগী ছাগলের বৈশিষ্ট্য

বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য –

দৈহিক বৃদ্ধির হার, , বাচ্চার জন্মকালীন ওজন, দুধ ছাড়ার বয়স ও ওজন, দুধ ছাড়ার পর দৈহিক বৃদ্ধির হার, যৌন পরিপক্কতায় আসার বয়স ও ওজন ।

উৎপাদন বৈশিষ্ট্য –

ছাগল প্রতি মাংস উৎপাদন, ড্রেসিং আউট পারসেন্টেজ, চামড়ার গুণাগুণ, দুধ উৎপাদন, লোম উৎপাদন ও তার গুণগত মান।

পুনরুৎপাদন বৈশিষ্ট্য-

যৌন পরিপক্কতায় আসার বয়স, প্রথম প্রজননের বয়স, প্রথম গর্ভধারণের বয়স, প্রথম বাচ্চা প্রসবের বয়স, গর্ভধারণ প্রতি পাল দেয়ার সংখ্যা, প্রতিবার বাচ্চা উৎপাদনের সংখ্যা, কিডিং ইন্টারভেল, জীবিত বাচ্চার শতকরা হার ইত্যাদি।

প্রজনন উপযোগী ছাগলের বৈশিষ্ট

বয়োঃসন্ধির বয়স, প্রথম প্রজননের বয়স ও ওজন, প্রথম গর্ভধারণের বাস ও ওজন, প্রথম প্রসবের বয়স ও ওজন, কিডিং ইন্টারভেল, প্রতিবার গর্ভধারণের জন্য পাল দেয়ার সংখ্যা, প্রতিবার বাচ্চা প্রসবের সংখ্যা, পাঁঠার শুক্রাণুর গুণগত মান।

প্রজনন উপযোগী পাঁঠা নির্বাচন

প্রজনন উপযোগী পাঁঠা নির্বাচনের সময় নিচের বৈশিষ্ট্যসমুহের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করতে হবে-

  • পাঁঠার বয়স কমপক্ষে ১২ মাস বা তার বেশি হতে হবে।
  • পাঁঠা রুক্ষ, আক্রমনাত্মক ও শৌর্য বীর্যের অধিকারী হতে হবে।
  • পাঁঠা শারীরিকভাবে সুস্থ এবং শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ নিখুঁত হতে হবে।
  • পাঁঠার পিতা মাতার অধিক উৎপাদনের রেকর্ড থাকতে হবে।
  • পাঁঠার অন্ডকোষ বড় ও সুগঠিত হতে হবে।
  • পেছনের পা মজবুত ও শক্তিশালী হতে হবে
  • অবশ্যই সকল প্রকার যৌন রোগ হতে মুক্ত হতে হবে।

প্রজনন উপযোগী ছাগী নির্বাচন

প্রজনন উপযোগী ছাগী নির্বাচনের সময় নিচের বৈশিষ্ট্যসমুহের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করতে হবে-

  • ছাগীর বয়স কমপক্ষে ৮ মাস হতে হবে।
  • দৈহিক ওজন কমপক্ষে ১২ কেজি হতে হবে।
  • ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের মাংসবহুল ছাগী নির্বাচন করতে হবে।
  • দুধ উৎপাদনকারী জাতের হলে ওলান ও বাঁট বড় ও সুগঠিত হতে হবে।
  • ছাগীর পিতা মাতার অধিক উৎপাদনের রেকর্ড থাকতে হবে।
  • দৈহিক বৃদ্ধির হার বেশি এমন ছাগী নির্বাচন করতে হবে।
  • ছাগী অবশ্যই শান্ত প্রকৃতির হতে হবে।

ছাগীর ইস্ট্রাস বা গরম হওয়ার লক্ষণ

  • ছাগীর আচরনে অস্থিরতা দেখা যায়।
  • খাওয়া দাওয়া কমে যায় বা ছেড়ে দেয়।
  • মাঝে মাঝে উচ্চ স্বরে চিৎকার করে।
  • সঙ্গী অন্য ছাগলের পিঠের উপর লাফিয়ে ওঠে। অন্য ছাগলকে তার পিঠে উঠতে দেয়।
  • ঘন ঘন লেজ নাড়ে, যোনীদ্বার লাল হয় এবং ফুলে য়ায়।
  • যোনীদ্বার দিয়ে জেলির মত মিউকাস জাতীয় তরল পদার্থ বের হয়।

ছাগীকে পাল দেয়ার উপযুক্ত সময় নির্ধারণ

  • ছাগী গরম হওয়ার ৮ – ১৮ ঘন্টার মধ্যে পাল দিতে হয়।
  • প্রয়োজনে এ সময়ের মধ্যে ২ বার পাল দিয়ে গর্ভধারণের হার বৃদ্ধি করা যায়। সকালে গরম হলে বিকালে এবং বিকালে গরম হলে পরের দিন সকালে পাল দেয়া প্রয়োজন।
  • সঠিক সময়ে পাল দেওয়া না হলে পরবর্তী ১৮ দিন হতে ২১ দিনের মধ্যে ছাগী পুনরায় গরম হয় বা হিটে আসে।
  • বাচ্চা প্রসবের দেড় হতে দুই মাস পর ছাগী গরম হয়। অনেক সময় ১৫ দিন পরেই গরম হতে পারে। কিন্তু বাচ্চা প্রসবের কমপক্ষে ২ মাসের আগে পাল দেয়া উচিৎ নয়।