কবুতর পালন করে অল্প সময়ে অনেকেই লাভ জনক ব্যবসা দাঁড় করাতে পেরেছেন। পুরুষ ও  স্ত্রী কবুতর  সাধারণতঃ জোড়া বেঁধে বাস করে। কবুতরের আয়ুস্কাল  ১২ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত। এরা ডিমের মাধ্যমে বাচ্চা উৎপাদন করে থাকে। স্ত্রী ও পুরুষ উভয়েই পর্যায়ক্রমে ডিমে তা দেয়। কোন কারণে কবুতরের জোড়া ভেঙে গেলে নতুন জুটি তৈরি করতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। নতুন জুটি তৈরি করার জন্য কাঙ্খিত  স্ত্রী ও পুরুষ কবুতরকে কিছুদিন এক ঘরে রাখতে হয়।

 কবুতর পালনের গুরুত্ব

  • সাধারনত একটি ভাল জাতের কবুতর বছরে ১২ জোড়া ডিম প্রদানে সক্ষম। এই ডিমগুলোর প্রায় প্রতিটি থেকেই বাচ্চা পাওয়া যায়। এই বাচ্চা পরর্বতী ৪ সপ্তাহের মধ্যইে খাওয়া বা বিক্রির উপযোগী হয়।

 

  • গৃহপালিত অন্যান্য পাখির মত কবুতরকে পোষ মানানো বা লালন করা যায়।

 

  • খুব অল্প জায়গায় কবুতর পালন করা যায়। এমনকি ঝোলানো ঝুড়িতেও কবুতর পালন করা সম্ভব। লালন পালনে কম জায়গা লাগে বলে কবুতর পোষায় খরচের পরমিাণ এককেবারেই কম।

 

  • বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কবুতর নিজের খাবার নিজেই খুঁজে নিয়ে থাকে। এই কারণে কবুতরের খাবারের জন্য বাড়তি যত্ন বা খরচ খুব একটা হয় না বললেই চলে।

 

  • বাড়ির আঙিনা বা ছাদের ওপর কাঠের ঘর তৈরি করে অনায়াসেই কবুতর পালন করা যায়। প্রমাণ সাইজের ঝুড়িতেও কবুতর পালন করা যায় ।

 

  • একটি পূর্ণ বয়সের কবুতর ডিম দেবার উপযোগী হতে ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগে। এই অল্প সময় অতিক্রান্ত হবার পর থেকেই কবুতর বছরে প্রায় ১২ জোড়া ডিম প্রদানে সক্ষম। ২৬ থেকে ২৮ দিন বয়সে কবুতরের বাচ্চা খাবার উপযোগী হয় বা এই বাচ্চাকে বাজারজাত করা যায়। অনেকে কবুতরের বাচ্চা রোগীর পথ্য হিসেবে বেছে নেন।

 

  • কবুতরের ডিম থেকে মাত্র ১৮ দিনে সাধারণ নিয়মে বাচ্চা ফুটে থাকে। এই বাচ্চা আবার পরর্বতী ৫ থেকে ৬ মাস পরে ডিম প্রদান শুরু করে।

 

  • কবুতরের মাংসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কারণ, কবুতরের মাংস খুবই সুস্বাদু ও বলকারক।

 

  • একটি খুব ভালো জাতের কবুতর পালন করলে পরর্বতী ১ বছরের মধ্যে ১ জোড়া থেকে কয়েক জোড়া কবুতর পাওয়া যায়।

 

  • কবুতরের রোগ ব্যাধি কম হয়। কবুতরের থাকার জায়গা নির্বাচনে ও অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না। এই কারণে ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে কবুতর পালন অবশ্যই লাভজনক।

 

  • কবুতরের ক্ষেত্রে ডিম ফোটার হার ৯৮%, যা মুরগির ক্ষেত্রে প্রায়শ ৮০-৮৫% হয়ে থাকে। এদের ডিম ফোটানোর জন্য ইনকিউবেটর বা এজাতীয় কোনো ব্যয়বহুল যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না।

 

  • অল্প বয়সে এদের পুনরুৎপাদন শুরু হয়। তাই একজন উৎপাদনকারী অল্প সময়ের মধ্যে অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভবান হতে পারে।

কবুতরের জাত

বহুবিচিত্র ধরণের নানা জাতের কবুতর রয়েছে। আমাদের দেশে ২০ টিরও অধিক জাতের কবুতর আছে বলে জানা যায়। নিম্নে প্রধান কয়েকটি জাত সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

গোলা (দেশি কবুতর)

ই জাতের কবুতরের উৎপত্তিস্থল পাক-ভারত উপমহাদেশ। বাংলাদেশে এ জাতের কবুতর প্রচুর দেখা যায় এবং মাংসের জন্য এটার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। ঘরের আশেপাশে খোপ নির্মাণ করলে এরা আপনা আপনি এখানে এসে বসবাস করে। এদের বর্ণ বিভিন্ন সেডযুক্ত ধূসর এবং বারড-ব্লু রংয়ের। এদের চোখের আইরিস গাঢ় লাল বর্ণের এবং পায়ের রং লাল বর্ণের হয়। 

গোলা কবুতর

হোমার কবুতর

উড়াল প্রতিযোগিতায় ব্যবহার হয় বলে রেসার হোমার বলা হয়। কবুতর দিয়ে রেস খেলা পৃথিবীর একটি প্রাচীনতম শৌখিন খেলা। বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, জার্মানি,  ইংল্যান্ড, আমেরিকা, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বহু দেশে রেসিং ক্লাব রয়েছে। বর্তমানে রেসিং ফলাফল নির্ধারিত হয় ইলেকট্রনিক ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইটিএস) মেশিন দিয়ে।

হোমার কবুতর

 টাম্বলার কবুতর

এসব জাতের কবুতর আকাশে ডিগবাজী খায় বলে এদের টাম্বলার বলে। আমাদের দশে এই জাতটি গিরিবাজ নামে পরিচিত। এদের উৎপত্তিস্থল পাক-ভারত উপমহাদেশ। মনোরঞ্জনের জন্য আমাদের দেশে এদের যথেষ্ট কদর রয়েছে।

টাম্বলার কবুতর

লোটন কবুতর

লোটন কবুতরকে রোলিং (Rolling) কবুতরও বলা হয়। গিরিবাজ কবুতর যেমন শূন্যের উপর ডিগবাজী খায়, তেমন লোটন কবুতর মাটির উপর ডিগবাজী খায়। সাদা বর্ণের এই কবুতরের ঘুরানো ঝুঁটি রয়েছে। এদের চোখ গাঢ় পিঙ্গল বর্ণের এবং পা লোমযুক্ত।

লোটন কবুতর

লাহোরী কবুতর

আমাদের দেশে এই কবুতরটি শিরাজী কবুতর হিসেবে পরিচিত। এদের চোখের চারদিক থেকে শুরু করে গলার সম্মুখভাগ, বুক, পেট, নিতম্ব, পা ও লেজের পালক সম্পূর্ণ সাদা হয় এবং মাথা থেকে শুরু করে গলার পিছন দিক এবং পাখা রঙ্গিন হয়। সাধারণত কালো, লাল, হলুদ, নীল ও রূপালী ইত্যাদি বর্ণের কবুতর দেখা যায়।

লাহোরী কবুতর

কিং কবুতর

কিং জাতের কবুতরের মধ্যে হোয়াইট কিং এবং সিলভার কিং আমেরিকাসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কিং জাতের কবুতর প্রদর্শনী এবং স্কোয়াব (বাচ্চা) উৎপাদনে ব্যবহার হয়। এছাড়াও রয়েছে ব্লু রেড এবং ইয়েলো কিং। এই জাতের কবুতর মূলত প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত হয়।

কিং কবুতর

ফ্যানটেল কবুতর

এটি অতি প্রাচীন জাতের কবুতর। এ জাতের কবুতর লেজের পালক পাখার মত মেলে দিতে পারে বলে এদেরকে ফ্যানটেল বলা হয়। এদের রং মূলত সাদা তবে কালো, নীল ও হলুদ বর্ণের ফ্যানটেল সৃষ্টিও সম্ভব হয়েছে। এদের লেজের পালক বড় হয় ও উপরের দিকে থাকে। পা পালক দ্বারা আবৃত থাকে। এ জাতের কবুতর প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত হয় এবং দেশ বিদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

ফ্য়ানটেল কবুতর

 জ্যাকোবিন কবুতর

এই কবুতরের মাথার পালক ঘাড় অবধি ছড়ানো থাকে যা বিশেষ ধরনের মস্তকাবরণের মত দেখায়। এদের উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা যায় না। তবে এদের আদি জন্মস্থান ভারত বলেই ধারণা করা হয়। এই কবুতর সাধারণত সাদা, লাল, হলুদ, নীল ও রূপালী বর্ণের হয়। এদের দেহ বেশ লম্বাটে। চোখ মুক্তার মত সাদা হয়।

জ্যাকোবিন কবুতর

মুকি কবুতর

এ জাতের কবুতরের গলা রাজহাঁসের মত পিছন দিকে বাঁকানো এবং কম্পমান অবস্থায় থাকে। মুকি জাতের কবুতরের উৎপত্তি ভারতে বলে ধারণা করা হয়। এদের উভয় ডানার তিনটি উড়বার উপযোগী পালক সাদা হয় যা অন্য কোনো কবুতরে দেখা যায় না। এ জাতের কবুতরের মাথা সাদা, বুক খুব একটা চওড়া নয় তবে উঁচু ও বেশ কিছুটা সামনের দিকে বাড়ানো থাকে। সাদা, কালো এবং নীল বর্ণের এই কবুতরের পায়ে লোম থাকে না।

মুকি কবুতর

কবুতরের বাসস্থান ব্যবস্থাপনা

আমাদের দেশে বিশেষত গ্রামে টিন বা খড়ের চালা ঘরের কার্ণিশে মাটির হাড়ি অথবা টিন বেঁধে রেখে কবুতর পালন করা হয়ে থাকে।

এ ছাড়া কাঠের তৈরি ছোট ছোট খোপ তৈরি করেও কবুতর পালন করা হয়ে থাকে। মজার ব্যাপার হল, কয়েক জোড়া কবুতরের ঘর করে এক জোড়া কবুতর পালন করলে কয়েক দিনের মধ্যে বাকী ঘরগুলোতে নতুন জোড়া কবুতর এসে বাসা বাঁধে। অল্প-পরিসরে যা বাণিজ্যিকভিত্তিতে কবুতর পালন করার জন্য অবশ্যই সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়।

 নিম্নে কবুতরের ঘর বা খোপ তৈরির বিশেষ ব্যবস্থাসমূহ আলোচনা করা হলো।

স্থান নির্বাচনঃ কবুতরের খামারের জন্য উঁচু ও শুষ্ক সমতল ভূমি থাকা প্রয়োজন।

ঘরের উচ্চতাঃ কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, বেজী ইত্যাদি যেন কবুতরের ঘর নাগালে না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে ঘর উঁচু করতে হয়। এ উদ্দেশ্যে কাঠ বা বাঁশের খুঁটি পুঁতে তার উপর ঘর নির্মাণ করা যেতে পারে।

ঘরের পরিসরঃ প্রতি এক জোড়া কবুতরের জন্য একটি খোপ থাকা প্রয়োজন। এক জোড়া কবুতর যাতে খোপের ভিতর স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে ফিরতে পারে তা লক্ষ্য রেখে ঘর নির্মাণ করতে হবে।

স্বাস্থ্য সম্মত ব্যবস্থাঃ কবুতরের ঘর বা খোপ এমনভাবে নির্মাণ করতে হবে যেন সেখানে পোকা-মাকড়, কৃমি, জীবাণু ইত্যাদির উপদ্রব কম থাকে এবং ঘর সহজেই পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা যায়।

সূর্যালোকঃ ঘরে যাতে সূর্যের পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ সূর্যের আলো যেমন পাখির দেহে ভিটামিন-ডি সৃষ্টিতে সাহায্যে করে তেমনি পরিবেশও জীবাণুমুক্ত রাখে।

বায়ু চলাচলঃ কবুতরের ঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। কারণ দূষিত বাতাস বা পর্যাপ্ত আলো বাতাসের অভাবে পাখির স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে।

কবুতরের খাদ্য ব্যবস্থাপনা

হাঁস-মুরগির খাদ্যের ন্যায়  কবুতরের খাদ্যে শ্বেতসার, চর্বি, আমিষ, খনিজ ও ভিটামিন প্রভৃতি থাকা প্রয়োজন। কবুতর তার দেহের প্রয়োজন এবং আকার অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। প্রতিটি কবুতর দৈনিক প্রায় ৩০-৫০ গ্রাম পর্যন্ত খাবার গ্রহণ করে থাকে।

কবুতর প্রধানত গম, মটর, খেশারী, ভুট্টা, সরিষা, যব, চাল, ধান, কলাই ইত্যাদি শস্যদানা খেয়ে থাকে। মুক্ত অবস্থায় কবুতর পালন করার জন্য সকাল-বিকাল মাথা পিছু আধ মুঠ শস্যদানা নির্দিষ্ট পাত্রে রেখে দিলে প্রয়োজন মত তারা খেতে পারবে। বাণিজ্যিকভিত্তিতে কবুতর উৎপাদনের জন্য নিম্নে প্রদত্ত খাদ্য মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে।

কবুতরের খাদ্য তালিকা

খাদ্য উপাদানপরিমাণ (%)
ভুট্টা৩৫
মটর২০
গম৩০
ঝিনুকের গুঁড়া/চুনাপাথর চূর্ণ/অস্থিচূর্ণ০৭
ভিটামিন/এমাইনো এসিড প্রিমিক্স০৭
লবণ০১
মোট= ১০০

এই সাথে কবুতরের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে হবে। এক পাত্রে কবুতরের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার ও অন্য পাত্রে প্রয়োজন মত পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানি রাখতে হবে।

 

কবুতরের গুরুত্বপূর্ণ রোগ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

 

রোগের নামকারণলক্ষণচিকিৎসাপ্রতিরোধ
সালমেনেলোসিস

/ প্যারাটইফোসিস

সালমোনেলা টাইফিমুরিয়ামআঠালো শ্লেষ্মা, ফেনা ও দুর্গন্ধযুক্ত ডায়রিয়া।

ক্রমাগত কৃশতা।

ভারসাম্য হীনতা ও পক্ষাঘাত।

এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে। এই সাথে ভিটামিন ও মিনারেল খাওয়াতে হবে।১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে কবুতর পালন করতে হবে।
২। টিকা প্রদান করতে হবে।
পাসচুরেলোসিসপাসচুরেলা মালটোসিডাডাইরিয়া, জ্বর।

কোন লক্ষণ ব্যতীত ২৪-৪৮ ঘন্টা মধ্যে কবুতর মারা যায়

এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে। এই সাথে ভিটামিনও মিনারেল খাওয়াতে হবে।১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে কবুতর পালন করতে হবে। ২। টিকা প্রদান করতে হবে।
করাইজা অথবা আউল’স হেডহেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জাসর্দি, চোখের পাতা ফুলে প্যাঁচার মাথার ন্যায় দেখায়, অক্ষিঝিলি্ল প্রদাহের ফলে চোখ দিয়ে muco-purulent পদার্থ নির্গত হয়।এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেস্ট করে সঠিক এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে। এই সাথে ভিটামিনস ও মিনারেলস খাওয়াতে হবে।১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে কবুতর পালন করতে হবে। ২। টিকা প্রদান করতে হবে।
মাইকোপ্লাজমোসিসমাইকোপ্লাজমা কলাম্বিনামসর্দি, চোখ ও নাক দিয়ে প্রথমে পানি এবং পড়ে  muco-purulent পদার্থ নির্গত হয়। মুখ ও কন্ঠে অত্যধিক প্রদাহ, দুর্গন্ধ সৃষ্টি ও শ্বাসকষ্ট।টিয়ামুলিন, টাইলোসিন এনরোফ্লুক্সসিন, স্পাইরামাইসিন, লিনকোমাইসিন গ্রুপের ঔষধ১। জীব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে কবুতর পালন করতে হবে। ২। টিকা প্রদান করতে হবে।
নিউক্যাসল ডিজিজপ্যারামিক্সো ভাইরাস টাইপ-১সবুজ রংয়ের ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, মুখ হাঁ করে শ্বাস গ্রহণ। ভারসাম্যহীনতা, মাথা ঘোরা, পাখা ও পায়ের পক্ষাঘাত  ইত্যাদি।এন্টিবায়োটিক, এমাইনো এসিড, ভিটামিন, ইমিউনো স্টিমুলেটর* জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে কবুতর পালন করতে হবে।
* টিকা প্রদান করতে হবে।
ডিফথেরো স্মল পক্স (বসন্ত রোগ)বোরেলিয়া কলাম্বরী ভাইরাসপালকহীন ত্বক বিশেষ করে চোখ, ঠোঁটের চারপাশে এবং পায়ে ক্ষত বা পক্স দেখা যায়এন্টিবায়োটিক, এমাইনো এসিড, ভিটামিন এ এবং সি, ইমিউনো স্টিমুলেটর, টপিক্যাল আইওডিন* জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে কবুতর পালন করতে হবে।
পরজীবী রোগআইমেরিয়া, এসকারিস, ক্যাপিলারিয়া, ট্রাইকোমোনাদুর্বলতা, খাদ্য গ্রহণে অনীহা, শুকিয়ে যাওয়া, ডাইরিয়া (মলে রক্ত থাকে – ককসিডিয়া), পুষ্টিহীনতা ও অবশেষে মৃত্যু।কৃমিনাশক, ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স, এমাইনো এসিড* জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে কবুতর পালন করতে হবে।