Table of Contents
খেলাপি ঋণ কাকে বলে?
বাংলাদেশের অর্থনীতির তথা ব্যাংক খাতের অন্যতম প্রধান সমস্যা খেলাপি ঋণ।
ঋণ চুক্তির শর্তগুলির মধ্যে প্রধান একটি শর্ত হল নির্দিষ্ট সময়ে এককালীন বা সময়ভিত্তিক কিস্তিতে সুদসহ ঋণের আসল পরিশোধ করা।
কোন কারণে চুক্তির শর্তমত নির্দিষ্ট সময় পর কোন ঋণ বা কিস্তির সম্পূর্ণ বা আংশিক ফেরত পাওয়া না গেলে বা সম্ভব না হলে ঐ সময়ে আদায়যোগ্য অনাদায়ী পরিমানকে খেলাপি ঋণ বলে।
অনাদায়ী ঋণের শ্রেনী বিভাগ
সাধারণত ‘নন-পারফর্মিং’ ঋণকে ৩টি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। যেমন- (১) ৩মাসের বেশি অনাদায়িথাকলে ‘সাব-স্ট্যান্ডার্ড’, (২) ৬ মাসের বেশি অনাদায়ি থাকলে ‘ডাউটফুল’ এবং (৩) ৯ মাস অথবা এক বছরের বেশি সময়ের জন্য অনাদায়ি থাকলে তাকে ‘ব্যাড ডেট বা লস’ বা মন্দ ঋণ বা কুঋণ হিসাবে গণ্য করা হয়। ডাউটফুল এবং ব্যাড ডেটগুলোকে খেলাপি ঋণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
রাইট অফ কি
২০০২ সালে ‘রাইট অফ সিস্টেম’ চালু হয়। এই নিয়মানুযায়ী পাঁচ বছরেও যেসব মন্দ ঋণ আদায় করা যায়নি, সেগুলোকে শর্ত সাপেক্ষে ‘রাইট অফ’ বা অবলোপন করা যায়। রাইট অফ করা হলো মন্দ ঋণগুলোকে ব্যাংকের মূল ব্যালান্সশিট থেকে বাদ দিয়ে বা সরিয়ে আলাদা আরেকটি লেজারে হিসাব সংরক্ষণ করা। রাইট অফ করার মূল দুটো শর্ত হলো: ঐ ঋণ সুদাসলে আদায়ের জন্য ব্যাংক মামলা দায়ের করবে এবং যে পরিমাণ ঋণ ‘রাইট অফ’ করা হবে তার সমপরিমাণ অর্থ ‘প্রভিশনিং’ বা ‘সঞ্চিতি’ করতেই হবে অর্থাৎ ঐ পরিমাণ অর্থ ব্যাংক অন্য কাউকে ঋণ দিতে পারবে না। অতএব, রাইট অফ বা প্রভিশনিং করলে ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার সামর্থ্য ঐ পরিমাণ সংকুচিত হয়ে যায়।
বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের চিত্র
সাল | খেলাপি ঋণ (কোটি টাকা) | মন্তব্য |
২০০৮ | ২২৪৮১ | |
২০০৯ | ২২৪৮২ | |
২০১০ | ২২,৭১০ | |
২০১১ | ২২,৬৪৪ | |
২০১২ | ৪২,৭২৫ | |
২০১৩ | ৪০,৫৮৩ | |
২০১৪ | ৫০,১৫৫ | |
২০১৫ | ৫১,৩৭১ | |
২০১৬ | ৬২,১৭২ | |
২০১৭ | ৭৪,৩০৩ | |
২০১৮ | ৯৩,৯১১ | |
২০১৯, সেপ্টেম্বর | ১,১৬,২৮৮ | |
২০২০, ডিসেম্বর | ৮৮,৭৩৪ | খেলাপি ঋণ আদায় বাড়েনি কিন্তু ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে অবকাশ সুবিধা দিয়ে পুনতফসীল করায় খেলাপি ঋণ কাগজেকলমে কমেছে |
২০২১ | ৯৫,২৪৩ | |
২০২২, জুন | ১,২৫,২৫৭ | ব্যাংকসমুহের দেয়া হিসাব |
সূত্র : বাংলাদেশ ব্যাংক
ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণ
খেলাপি ঋণ সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয় ঋণঝুঁকি বিশ্লেষণে দুর্বলতা এবং ঋণ বিতরণ ও পরবর্তীতে বিভিন্ন অপঃতৎপরতার মধ্য দিয়ে।
খেলাপি ঋণ সৃষ্টিতে গ্রাহকের দায়
- বিশেষ অনুকূল পরিবেশে ঋণ সহজলভ্য মনে করে প্রয়োজন না থাকলেও বা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঋণ নেওয়ার প্রবণতা
- ভুল ব্যবসায়িক পূর্বাভাসের কারণে অতি আশাবাদী বিনিয়োগের ঝুঁকিগুলো অনুধাবনের ব্যর্থতা,
- নিজস্ব পুঁজির স্বল্পতার কারণে ব্যাংক ঋণের ওপর অতিনির্ভরশীলতা
- ব্যাংকের কাছে তথ্য গোপন করে বা মিথ্যা তথ্য আদিয়ে অন্যায্য ঋণসুবিধা গ্রহণ
- চলতি মূলধনকে দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী সম্পদে রূপান্তরিত করা, ঋণখেলাপিদের অনেকেই চলতি মূলধন খাতের ঋণের টাকা সরিয়ে ভূসম্পত্তি কিনে ব্যবসা অপারেশন ঠিক মত করতে না পারায় ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হন
- এক ব্যবসার জন্য গ্রহণ করা ঋণের টাকা ব্যাংকের অগোচরে ভিন্ন ব্যবসায় সরিয়ে নেয়া
- যোগ্য ব্যবসায়িক উত্তরসূরির অভাবে পরবর্তী সময়ে ব্যবসায় লোকসান
- ব্যবসায়িক অংশীদারদের মধ্যে অবিশ্বাস, কোন্দল অথবা মতানৈক্য
- ঋণ নিয়ে গা–ঢাকা দেওয়া বা বিদেশ পাড়ি দেয়া
- “ঋণ নিয়ে শোধ করা লাগবে না বা করবনা” শুরুতেই এই মনোভাব নিয়ে ঋণ নেয়া
- এছাড়াও গ্রাহকের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত নানাবিধ কারণে ব্যবসা নষ্ট বা লোকসান হওয়া।
খেলাপি ঋণ সৃষ্টিতে ব্যাংকের দায়
- ভুল ঋণ গ্রহীতা নির্বাচন
- গ্রহীতার দেওয়া তথ্যের সত্যাসত্য সঠিকভাবে যাচাই না করে ঋণ অনুমোদন করা
- গ্রাহকের প্রয়োজন নিরূপণ না করে প্রতিষ্ঠানের ইচ্ছানুযায়ী য়োজনাতিরিক্ত ঋণ দেওয়া
- ঋণ প্রদানের সময় পর্যাপ্ত সিকিউরিটি না নেয়া বা দলিলপত্রের সত্যতা ও মালিকানা নিশ্চিত না হয়ে বন্ধক গ্রহণ করা
- অদক্ষতাজনিত বা দুর্নীতির অভিপ্রায়ে দুর্বল ঋণ গ্রহণযোগ্যতা মূল্যায়ন।
- বাহিরের চাপ মেনে ঋণ অনুমোদন – তার মধ্যে রাজনৈতিক চাপ বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে। যখন যারা ক্ষমতায় থাকে, তাদের সমর্থিত লোকজন রাজনৈতিক জোর খাটিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা বের করে নেয়। যেহেতু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মালিক সরকার, তাই রাজনৈতিক লোকজন যখন চাপ প্রয়োগ করে ঐ সকল ব্যাংকের সেটা সহ্য করার ক্ষমতা থাকেনা। খেলাপি ঋণের একটি বড় অংশ খেলাপি হয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসমূহে।
- ঋণ অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের স্বজন প্রীতি ও দুর্নীতি – বিশেষ করে বেসরকারী ব্যাংকে। বেসরকারী ব্যাংকের পরিচালকদের মালিকানাধধন বা স্বার্থসংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে প্রদত্ত ঋণ।
- ঋণদানের ক্ষেত্রে অযোগ্য গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাংক কর্মীর অশুভ আঁতাত।
- বিতরণকৃত ঋণের সঠিক ব্যবহারের ওপর নজরদারির অভাব
এর বাইরেও আর অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রেই মূল কারণগুলো প্রায় একই রকম।
খেলাপি ঋণের পরিমান ক্রমাগত কেন বাড়ে
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত এক হিসাব মতে ২০১৮ সালের প্রথম ৬মাসে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ, পুরনো অনাদায়ী ঋণ আদায়তো হয়ই নি, বরং নতুন করে আরও খেলাপি যোগ হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলোর অনাদায়ী ঋণ আদায়ে ফলপ্রসূ কোন উদ্যোগ নেই।
বর্তমান ব্যাংকিং খাতে কয়েকটি প্রবণতা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুনাফা বৃদ্ধির তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে ব্যাংকগুলো আগেপিছে না ভেবে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত প্রয়োজন নিরূপণ না করে কেবল ঋণ বিতরণ বৃদ্ধির জন্য স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে ঋণ বিতরণ করে আসছে। এই খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীদের সাথে অবৈধ আঁতাতের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণের সুযোগ নিয়ে বহু প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি ঋণের অর্থ ভিন্ন খাতে সরিয়ে ঋণ পরিশোধের ক্ষমতাহারিয়ে ফেলেছে।
জনাব খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ (বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর) বলছেন, নিয়ম ভঙ্গের কারণে ঋণ খেলাপি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমুলক ব্যাবস্থা নেয়া হয় না বলে প্রতি বছর খেলাপি ঋণ বা অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকে।
ঋণের টাকা ফেরত না দিয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াতে পারলে টাকা ফেরত না দেওয়ার একটা সংস্কৃতি চালু হবে এটাই স্বাভাবিক। আর হচ্ছেও তাই।
খেলাপি হওয়ার পর অনেকেই নানান ছাড় নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের পরে টাকা শোধ করেন। আবার যিনি নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেন, তিনি কোনো ছাড় পান না। ফলে ব্যবস্থাটা এমন দাঁড়িয়ে গেছে, নিয়মিত ঋণ শোধ করা ভালো গ্রাহকের জন্য একধরনের শাস্তি। এই ব্যবস্থা নিয়মিত ঋণ পরিশোধে গ্রাহককে মনস্তাত্ত্বিকভাবে নিরুৎসাহিত করে।
খেলাপি ঋণের প্রভাব
বর্তমানে ব্যাংক খাতের প্রধান সমস্যা খেলাপি ঋণ। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ার অর্থ ব্যাংক যে টাকা বিনিয়োগ করেছে তা আটকে থাকা। এর নানামুখী কুপ্রভাব আছে। বিনিয়োগের জন্য ব্যাংককে কর দিতে হয়। ঋণ খেলাপি হলে সুদ স্থগিত থাকে, আবার এ জন্য ব্যাংককে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়। ফলে ব্যাংকের মুনাফা কমে যায়। আবার আটকে যাওয়া টাকা ব্যবহারের মধ্যে না থাকায় ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা যায়। ফলে নতুন করে ঋণ দেওয়া সম্ভব হয় না। আমানতের ওপর চাপ পড়ে। ব্যাংকের নিরাপত্তা সঞ্চিতিতে ঘাটতি পড়ে, মূলধনেও চাপ পড়ে। এটা একটা চক্রের মতো। পুরো ব্যাংকিং সিস্টেমই খেলাপি ঋণের কারণে চাপে পড়ে যায়।
এমনকি অবকাঠামোগত উন্নয়নেও খেলাপি ঋণের বিরূপ প্রভাব পড়ে। আকাশচুম্বী এই খেলাপি ঋণ না থাকলে অনায়াসে বড় বড় প্রকল্প কোনো প্রকার বিদেশি ঋণ বা সাহায্য ছাড়াই সম্পন্ন করা সম্ভব।
খেলাপি ঋণ কীভাবে আদায় করা যায়
এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেক সময় ঋণ আদায় করা যায় না। এজন্য অর্থঋণ আদালতকে আরও শক্তিশালী করা দরকার।
চীনদেশে যারা ঋণখেলাপি তাদের বিমানে ওঠায় নিষেধাজ্ঞা আছে। নেপালে ঋণখেলাপিরা পাসপোর্ট সুবিধা পায় না। খেলাপি ঋণ কমাতে হলে আমাদেরও এমন বড় কোনো পদক্ষেপ নেয়া দরকার। যারা ঋণ খেলাপি তাদের শাস্তি হলেই সবাই সতর্ক হবে।
খেলাপি ঋণ আদায়ে সরকার বছর বছর যে ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয় খেলাপিরা তার সুযোগ নেয় মাত্র, প্রকৃতপক্ষে ঋণ পরিশোধে আগ্রহী হয়না। বরং এটা প্রকারান্তরে শাস্তির বদলে পুরস্কারের মত হয়ে যায়। চোরা না শেনে ধর্মের বানী।
ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিয়মিত যেসব নির্দেশনা পাঠায় তা অনুসরণ করা হয় কিনা সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি বাড়াতে হবে।
আইনি ব্যবস্থা নেবার জন্য প্রত্যেক ব্যাংকের নিজস্ব নিয়ম রয়েছে, তা সঠিকভাবে অনুশীলন করতে হবে।
ঋণ খেলাপিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি তাদেরকে সামাজিকভাবে একঘরে করতে হবে যাতে তারা একটা বড় ধাক্কা খায়।
ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী মুনাফার প্রবণতা বাদ দিয়ে যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করে ঋণ দিতে হবে।
প্রতি বছর ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করে পরবর্তী বছরে তাদের ঋণ পরিশোধের কি অবস্থা এবং ব্যাংকগুলি কি ব্যবস্থা নিয়েছে সংসদে উপস্থাপন করা যেতে পারে।
বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিলেই মাত্র এই বিপুল খেলাপি ঋণ আদায় করা সম্ভব হবে। নচেৎ সম্ভব নয়।
নতুন করে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বাধিক সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উচিত সর্বস্তরে পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা। সব সমস্যার সমাধান এখানেই নিহিত।
খেলাপি ঋণ থেকে পরিত্রাণের উপায়
- নৈতিকতার চর্চা করা;
- ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যাংক পরিচালকদের প্রভাবমুক্ত করা;
- সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যৌথভাবে কাজ করা;
- কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সব ব্যাংকে শুধু খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত আলাদা করে মনিটরিং সেল গঠন করা;
- সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে ঋণ প্রদান এবং বিতর্কিত ঋণের যথাযথ পর্যবেক্ষণ;
- সুশাসন নিশ্চিত করা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা;
- ঋণ প্রদানে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি বন্ধ করা;
- অর্থ ঋণ আদালতসহ আইনি প্রক্রিয়ার উন্নত ও সংস্কার ;
- ঋণ খেলাপিদের কালো তালিকা প্রকাশ এবং ভবিষ্যতে ঋণ গ্রহণে বিরত রাখা;
- ঋণের বিপরীতে জামানতকৃত সম্পত্তির সঠিক চলতি বাজারমূল্য নিরূপণ;
- একই খাতে বেশি ঋণ না দিয়ে বিভিন্ন খাতে ঋণ প্রদান করা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বানিজ্য ভারসাম্য ও লেনদেনের ভারসাম্য
Leave A Comment