Table of Contents
অর্থ কাকে বলে?
অর্থ হচ্ছে সেই সকল বস্তু যা সেবা ও পণ্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
প্রাচীনকালে অর্থ শুধুমাত্র বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হত। কিন্তু, বর্তমানে বিনিময়ের মাধ্যম ছাড়াও অর্থের ব্যবহার আরও বিস্তৃত হয়েছে; যেমন- মূল্যের পরিমাপক, মূল্যের সংরক্ষক ও স্থগিত লেনদেনের পরিমাপক। অর্থ ছাড়া বর্তমানে কোন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনার কথা চিন্তাও করা যায় না।
অর্থের গুরুত্ব
আধুনিক অর্থব্যবস্থায় অর্থ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। বানিজ্যের ক্ষেত্রে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন হল অর্থের উদ্ভাবন।
অর্থ ব্যবহারের সুবিধা অসীম। তাই, আধুনিক অর্থব্যবস্থা অর্থের উপর নির্ভরশীল।
অর্থের উদ্ভাবনের ফলে আধুনিক সমাজে মানুষ সরাসরি দ্রব্য় বিনিময় প্রথার অসুবিধা থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছে। বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে অর্থের প্রচলনে বিনিময় কার্যকলাপের গতি অত্যন্ত বেড়ে গেছে। ফলে মানুষ সহজেই তার অভাব পূরণ করতে পারছে।
অর্থের মাধ্যমে ভোক্তা সাধারণ ক্রয়ক্ষমতা লাভ করেছে। এটি ক্রেতার দ্রব্য ও সেবাসামগ্রী ক্রয়ের স্বাধীন সুযোগ এনে দিয়েছে।
এক কথায় মানুষের অভাব মেটানোর ক্ষেত্রে অর্থের ক্ষমতা অপরিসীম।
অর্থ উৎপাদকের কর্মপরিধি নির্ধারণ অর্থাৎ উৎপাদন ও বিপনন সক্ষম করে তুলেছে। ক্রেতার চাহিদায় তার অর্থ ব্যয়ের ধরণ ও সামর্থ্য প্রতিফলিত হয়। আর এই চাহিদার উপর ভিত্তি করে উৎপাদক তার উৎপাদনের ধরণ-ধারণ স্থির করতে পারে। তাহলে উৎপাদকের উৎপাদন সিদ্ধান্তের মূলে কি রয়েছে? – নিশ্চয়ই অর্থ। উৎপাদকের উপকরণ বিনিয়োগ, উৎপাদন ব্যয় ও মুনাফা নির্ধারণে অর্থের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
উৎপাদনে বিশেষায়ন ও বৃহদায়তনের উৎপাদন কার্য সম্পাদন সম্ভব হচেছে একমাত্র অর্থের উদ্ভাবনের ফলে।
অর্থের ব্যবহার ও বানিজ্য
অর্থের ব্যবহার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বানিজ্য স্বাচ্ছন্দের সাথে সম্পন্ন করা সম্ভবপর করেছে। অর্থের প্রচলন স্বয়ংসম্পূর্ণতা বিনষ্ট করে। এটি বিনিময় মাধ্যম হিসাবে প্রচলিত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ও ভিন্ন ভিন্ন দেশের অধিবাসীদের মধ্যে সহজ যোগসূত্র স্থাপন করে।
কার্যত, অর্থের উদ্ভাবনের পরেই অভ্যন্তরীণ বিনিময় আন্তর্জাতিক বিনিময়ের আকার নিতে সক্ষম হয়।
অর্থ ঋণ পরিশোধ ও অগ্রীম পাওনা মিটানোর ব্যাপারে সাহায়ক। দ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রির আগেই শ্রমিক তার মজুরি অর্থের আকারে পেয়ে থাকে। ঋণ প্রদান ও পরিশোধের সহজ মাধ্য়ম অর্থ।
আবার, অর্থের অস্তিত্ব সঞ্চয়ে উৎসাহ যোগায়। সঞ্চয় মূলধন গঠনে সাহায্য করে যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি।
যে কোন আধুনিক সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ, ব্যয়নির্বাহ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ও জনহিতকর কার্যাবলী দ্রব্যের মাধ্যমে সম্পাদন করা দুরুহ; তা করতে হয় অর্থের মাধ্যমে।
এক কথায়, সরকারি আয়-ব্যয় ও ঋণ সংক্রান্ত কর্মপরিকল্পনায় অর্থের অবদান অনস্বীকার্য।
এখন কি বলা যায় যে, “অর্থ অনর্থের মূল”? নিশ্চয়ই না।
বরং, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, বর্তমানকালের বিশেষায়ন ও জটিল শ্রম বিভাগের যুগে অর্থ হল সর্বাপেক্ষা প্রয়োজনীয় ও শক্তিশালী বিনিময় মাধ্যম। অর্থের উদ্ভব না ঘটলে আধুনিক সমাজের উদ্ভব ঘটত না।
মুদ্রা কি
মুদ্রা হল পণ্য বা সেবা আদান প্রদানের জন্য একটি বিনিময় মাধ্যম। এটি অর্থের একটি ধরণ।
মুদ্রা এলাকা কাকে বলে?
মুদ্রা এলাকা বা কারেন্সি জোন হচ্ছে একটি দেশ বা এলাকা যেখানে একটি নির্দিষ্ট মুদ্রা অর্থনীতির প্রধান বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন রিংগিত এর মুদ্রা এলাকা মালয়েশিয়া।
মুদ্রা কত প্রকার ও কি কি?
মুদ্রা প্রথমত ২ প্রকার।
বিহিত মুদ্রা ও ঐচ্ছিক মুদ্রা।
বিহিত মুদ্রা কি
আইনের মাধ্যমে স্বীকৃত সবার নিকট বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণযোগ্য মুদ্রাকে বিহিত মুদ্রা বলা হয়।
অন্যভাবে বলা যায়, যে সকল মুদ্রা সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত এবং যা লেনদেনের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করতে সবাই আইনগতভাবে বাধ্য তাকে বিহিত মুদ্রা বলা হয়।
আরও সহজ করে বলা যায়, প্রতিটি দেশের একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক আছে; যেমন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংক থেকে আমাদের দেশে প্রতিবছর ৫ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের মুদ্রা বাজারে ছাড়া হয়; এই সব মুদ্রাই বিহিত মুদ্রা।
বিহিত মুদ্রা সরকারি ঘোষণা ও সরকারি আইনের আওতায় পরিচালিত। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা, ৫০০টাকা এবং ১০০০টাকার নোট প্রত্যেকটি বিহিত মুদ্রা।
বিহিত মুদ্রা আবার দু’প্রকার। যথা-
অসীম বিহিত মুদ্রা
সসীম বিহিত মুদ্রা
অসীম বিহিত মুদ্রা কি
অসীম বিহিত মুদ্রা বলতে বোঝায় যে বিহিত মুদ্রা দ্বারা আইনগত যেকোনো পরিমাণ লেনদেন করা যায় এবং দেনা-পাওনা পরিশোধ করলে পাওনাদার তা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকে। বাংলাদেশের অসীম বিহিত মুদ্রা হলো—৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ২০০ টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট।
সসীম বিহিত মুদ্রা কি
সসীম বিহিত মুদ্রা বলতে বোঝায় যে বিহিত মুদ্রা দ্বারা একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত লেনদেন করা যায়, আইনগতভাবে জনগণকে অধিক গ্রহণে বাধ্য করা যায় না এবং জনগণ তার ইচ্ছা অনুযায়ী তা গ্রহণ করতে পারে। আমাদের দেশের সসীম বিহিত অর্থ হলো— ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা।
আপনি কাহারো নিকট ১ লক্ষ টাকা প্রাপ্য এবং সে আপনাকে ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা সহযোগে সেই অর্থ প্রদান করলে আপনি তা গ্রহণ করতে বাধ্য নন; আর তা গ্রহণ করা সম্ভব ও নয়। কিন্তু, আপনি যে কোন পরিমান কাগজী নোটে (অসীম বিহিত মুদ্রা) গ্রহণ করতে আইনত বাধ্য।
ঐচ্ছিক মুদ্রা কি
এমন কিছু মুদ্রা আছে যে গুলো মানুষ ইচ্ছা করলে লেনদেনের কাজে ব্যবহার করতে পারে কিন্তু লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে সেগুলি গ্রহন করতে আইনগত বাধ্য নয়। তবে যেমন, চেক, ড্রাফ্ট, পে-অর্ডার, হুন্ডি, ট্রেজারী বিল, প্রাইজ বন্ড ইত্যাদি ঐচ্ছিক মুদ্রা। ঐচ্ছিক মুদ্রা গ্রহণ করার আইনগত কোন বাধ্য বাধকতা নেই বরং তা গ্রহণ করা গ্রহীতার ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে।
আমি করিমের নিকট ৫০০ টাকা পাই। করিম আমাকে ৫ টি ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড দিলে আমি তা গ্রহণ করতে পারি; আবার ইচ্ছা না হলে গ্রহণ করতে নাও পারি। কিন্তু সে আমাকে ৫০০ টাকার ব্যাংক নোট দিলে আমি তা গ্রহণ করতে বাধ্য; অস্বীকার করার উপায় নাই।
ব্যাংক নোট ও সরকারি মুদ্রার পার্থ্যক্য
ব্যাংক নোট
ব্যাংক নোট হচ্ছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত নোট বা মুদ্রা। যেমন, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট। এগুলো বের করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে গভর্নরের সই থাকে।
সরকারি মুদ্রা
৫, ১০, ২৫ ও ৫০ পয়সা, ১ টাকা, ২ টাকা ও ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা এবং ১ টাকা ও ২ টাকার কাগজী নোট হচ্ছে সরকারি মুদ্রা। এগুলো সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় বের করে এবং এতে অর্থ সচিবের সই থাকে।
বৈদেশিক মুদ্রা
নিজ দেশের মুদ্রা ব্যতীত সাধারণত যে সকল শক্তিশালী বা অনমনীয় মুদ্রা (Hard currency) আন্তর্জাতিক বাজারে সহজে বিনিময়যোগ্য (যেমন মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউণ্ড, ইউরো, ইয়েন ইত্যাদি) সেই সব মুদ্রাকে বৈদেশিক মুদ্রা বলে। সেটিতেই বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ গড়ে তোলা হয়।
বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার (Foreign Exchange Reserves)
বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বলতে কোনও দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে (বা মুদ্রাবিষয়ক কর্তৃপক্ষের কাছে) বৈদেশিক মুদ্রায় গচ্ছিত সম্পদের মজুদকে বোঝায়। কোন দেশ স্বীয় দেশেরই কোন ব্যাংকে বা কোন বিদেশে অবস্থিত ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সংরক্ষণ করতে পারে। এভাবে গচ্ছিত বৈদেশিক মুদ্রা প্রধানত আমদানি মূল্য এবং বৈদেশিক ঋণ ও ঋণের সুদ, ইত্যাদি পরিশোধে ব্যবহৃত হয়। পণ্য ও সেবা রপ্তানি ও বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের স্বদেশে পাঠানো অর্থ থেকে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ গড়ে ওঠে।
রেমিট্যান্স (Remittance)
রেমিট্যান্স বা প্রবাসী-প্রেরিত অর্থ হল প্রবাসে কর্মরত কোন অভিবাসী কর্মী তার মাতৃরাষ্ট্রে যে অর্থ প্রেরণ করে।
বৈদেশিক মুদ্রা বাজার
বৈদেশিক মুদ্রা বাজার বিশ্বব্যাপী মুদ্রা বিনিময় ও বিনিময় হার নির্ধারণের বাজারকে বোঝায়। এখানে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকসমূহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ক্রয়, বিক্রয় এবং বিনিময় করে থাকে।
মুদ্রানীতি হল একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য দেশের আর্থিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত নীতি যা দেশের অর্থনীতিতে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত ও নিয়ন্ত্রণ করে। মুদ্রানীতি দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সুদের হার এবং অর্থ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
বিভিন্ন দেশের মুদ্রার নাম
ক্রমিক নং | দেশের নাম | রাজধানীর নাম | মুদ্রার নাম |
১ | আফগানিস্তান | কাবুল | আফগানী |
২ | আলবেনিয়া | টিরানে | লেক |
৩ | আলজেরিয়া | আলজিয়ার্স | দিনার |
৪ | এ্যান্ডোরা | এ্যান্ডোরা লা ভেল্লা | ইউরো |
৫ | এ্যাঙ্গোলা | রুয়ান্ডা | নিউ ক্যানজা |
৬ | এন্টিগুয়া এ্যান্ড বারমুডা | সেইন্ট জন্স | ইস্ট ক্যারিবিয়ান ডলার |
৭ | আর্জেন্টিনা | বুয়েনোস আইরেস | পেসো |
৮ | আর্মেনিয়া | ইয়েরেভান | ড্রাম |
৯ | অস্ট্রেলিয়া | ক্যানবেরা | অস্ট্রেলিয়ান ডলার |
১০ | অস্ট্রিয়া | ভিয়েনা | ইউরো |
১১ | আজারবাইজান | বাকু | মোনাট |
১২ | দ্য বাহামাস | নাসু | বাহামিয়ান ডলার |
১৩ | বাহারাইন | মানামা | বাহারাইন দিনার |
১৪ | বাংলাদেশ | ঢাকা | টাকা |
১৫ | বার্বাডোস | ব্রিজটাউন | বার্বাডোস ডলার |
১৬ | বেলারুশ | মিনস্ক | বেলারুশিয়ান রুবল |
১৭ | বেলজিয়াম | ব্রাসেলস | বেলজিআন ফ্রাঙ্ক |
১৮ | বেলিজে | বেলমোপান | বেলিজে ডলার |
১৯ | বেনিন | পোর্তো নোভো | CFA ফ্রাঙ্ক |
২০ | ভুটান | থিম্পু | নগুলট্রাম |
২১ | বলিভিয়া | লাপাজ | বলিভিয়ানো |
২২ | বসনিয়া এ্যান্ড হার্জেগোভিনা | সারাজেভো | কভারটিপলে |
২৩ | বোতসোয়ানা | গ্যাবোরোন | পুলা |
২৪ | ব্রাজিল | ব্রাসিলিয়া | ব্রাজিলিয়ান রিয়েল |
২৫ | ব্রুনেই | বান্দার সেরি বেগবান | ব্রুনেই ডলার |
২৬ | বুলগেরিয়া | সোফিয়া | লেভ |
২৭ | বুরকিনা ফাসো | ওয়াডুগু | CFA ফ্রাঙ্ক |
২৮ | বুরুন্ডি | গীটেগা | বুরুন্ডি ফ্রাঙ্ক |
২৯ | কম্বোডিয়া | ফোনোম্পেন | কম্বোডিয়ান রিয়েল |
৩০ | ক্যামেরন | ইয়োনদে | CFA ফ্রাঙ্ক |
৩১ | কানাডা | অটোয়া | কানাডিয়ান ডলার |
৩২ | কেপ ভার্দে | প্রাইয়া | কেপ ভার্দে এস্কুডো |
৩৩ | চেন্টাল আফ্রিকান রিপাবলিক | বাংগুই | CFA ফ্রাঙ্ক |
৩৪ | চাদ | নড্য়ামেন | CFA ফ্রাঙ্ক |
৩৫ | চিলি | সান্টিয়াগো | চিলিয়ান পেসো |
৩৬ | চীন | বেইজিং | চাইনিজ ইউয়ান |
৩৭ | কলোম্বিয়া | বোগোতা | কলোম্বিয়ান পেসো |
৩৮ | কমোরোস | মোরোনি | ফ্রাঙ্ক |
৩৯ | কঙ্গো | ব্রাজাভিল্লে | CFA ফ্রাঙ্ক |
৪০ | জিম্বাবোয়ে | হারারে | ইউএস ডলার |
৪১ | কোস্টা রিকা | সান জোসে | কোলন |
৪২ | কোত দিভোয়ার | আবিদজান | CFA ফ্রাঙ্ক |
৪৩ | ক্রোয়েশিয়া | জাগ্রেব | ক্রোয়েশিয়ান কুনা |
৪৪ | কিউবা | হাভানা | কিউবান পেসো |
৪৫ | সাইপ্রাস | নোকোসিয়া | ইউরো |
৪৬ | চেক রিপাবলিক | প্রাগ | চেক কোরুনা |
৪৭ | ডেনমার্ক | কোপেনহেগেন | ড্যানিশ ক্রোন |
৪৮ | জিবুতি | জিবুতি | জিবুতিয়ান ফ্রাঙ্ক |
৪৯ | ডোমিনিকা | রোসিও | ইস্ট ক্যারিবিয়ান ডলার |
৫০ | ডোমিনিকা রিপাবলিক | সান্টো ডোমিংগো | ডোমিনিকান পেসো |
৫১ | ইস্ট তিমুর | দিলি | মার্কিন ডলার |
৫২ | ইকুয়েডর | কুইটো | মার্কিন ডলার |
৫৩ | ইজিপ্ট / মিশর | কায়রো | ইজিপ্সিয়ান পাউন্ড |
৫৪ | এল সালভাদর | সান সালভাদর | কোলন, মার্কিন ডলার |
৫৫ | ইকুয়েটরিয়াল গুয়েনা | মালাবো | CFA ফ্রাঙ্ক |
৫৬ | এরটরি | আসমারা | নাকফা |
৫৭ | এস্তোনিয়া | তাল্লিনন | এস্তোনিয়া করুন, ইউরো |
৫৮ | ইথিওপিয়া | আদিস আবাবা | বির |
৫৯ | ফিজি | সুভা | ফিজি ডলার |
৬০ | ফিনল্যান্ড | হেলসিংকি | ফ্রেঞ্চ ফ্রাঙ্ক |
৬১ | গ্যাবন | লিভার ভিলে | CFA ফ্রাঙ্ক |
৬২ | ফ্রান্স | প্য়ারিস | ফ্রেঞ্চ ফ্রাঙ্ক |
৬৩ | গাম্বিয়া | বানজুল | ডালাসি |
৬৪ | জর্জিয়া | বিলিসি | লারি |
৬৫ | জার্মানি | বার্লিন | ইউরো |
৬৬ | ঘানা | আক্রা | সিডি |
৬৭ | গ্রিস | এথেন্স | ইউরো |
৬৮ | গ্রানাডা | সেন্ট জর্জেস | ইস্ট ক্যারিবিয়ান ডলার |
৬৯ | গুয়াতেমালা | গুয়াতেমালা সিটি | কুয়েৎজাল |
৭০ | গিনি | কোনাক্রাই | গিনি ফ্রাঙ্ক |
৭১ | গিনি-বিসাউ | বিসাউ | CFA ফ্রাঙ্ক |
৭২ | গায়ান | জর্জটাউন | গায়ানিজ ডলার |
৭৩ | হাইতি | পোর্ট-ইউ-প্রিন্স | গৌড়দে |
৭৪ | হন্ডুরাস | তেগুচিগালপা | লেম্পিরা |
৭৫ | হাঙ্গেরি | বুদাপেস্ট | ফোরিন্ট |
৭৬ | আইসল্যান্ড | রিকজাভিক | আইসল্যান্ডিক ক্রোনা |
৭৭ | ভারত | নিউ দিল্লি | ভারতীয় রুপি |
৭৮ | ইন্দোনেশিয়া | জাকার্তা | (ইন্দোনেশিয়ান) রুপিয়া |
৭৯ | ইরান | তেহরান | রিয়াল |
৮০ | ইরাক | বাগদাদ | ইরাকি দিনার |
৮১ | আয়ারল্যান্ড | ডাবলিন | ইউরো |
৮২ | ইসরায়েল | জেরুজালেম | শেকেল |
৮৩ | ইতালি | রোম | লিরা |
৮৪ | জ্যামাইকা | কিংস্টন | জ্যামাইকান ডলার |
৮৫ | জাপান | টোকিও | ইয়েন |
৮৬ | জর্ডান | আম্মান | জর্ডানিয়ান দিনার |
৮৭ | কাজাকিস্তান | নূর সুলতান | টেঙে |
৮৮ | কেনিয়া | নাইরোবি | কেনিয়ান সিলিং |
৮৯ | কিরিবাতি | তারাওয়া আটেল | কিরিবাতি ডলার |
৯০ | উত্তর কোরিয়া | পিয়ংইয়ং | ওঁ |
৯১ | দক্ষিণ কোরিয়া | সিউওল | ওঁ |
৯২ | কুয়েত | কুয়েত সিটি | কুয়েতি দিনার |
৯৩ | কিরগিজস্তান | বিসকেক | সোম |
৯৪ | লাওস | ভিএনটিয়ানে | নিউকিপ |
৯৫ | লাতভিয়া | রিগা | ল্য়াটস |
৯৬ | লেবানন | বৈরুত | লেবানিজ পাউন্ড |
৯৭ | লেসোথো | মাসেরু | মালুটি |
৯৮ | লাইবেরিয়া | মনরোভিয়া | লাইবেরিয়ান ডলার |
৯৯ | লিবিয়া | ত্রিপোলি | লিবিয়ান দিনার |
১০০ | লিসটেনস্টাইন | ভেদুজ | সুইস ফ্রাঙ্ক |
১০১ | লিথুয়ানিয়া | ভিলনিয়াস | লিটাস |
১০২ | লুক্সেমবার্গ | লুক্সেমবার্গ | ইউরো |
১০৩ | ম্য়াসেডোনিয়া | স্কোপজে | দেনার |
১০৪ | মাদাগাস্কার | আন্তানানারিভো | মালগাসি এরিয়ারি |
১০৫ | মালাউি | লিলংয়ে | কবচা |
১০৬ | মালয়েশিয়া | কুয়ালা লামপুর | রিংগিত |
১০৭ | মাল দ্বীপ | মালে | রুফিয়া |
১০৮ | মালটা | ভ্য়ালেটটা | ইউরো |
১০৯ | মার্শাল আইল্যান্ড | মাজুরো | মার্কিন ডলার |
১১০ | মউরিতানিয়া | নোয়াকচট | ওগিয়া |
১১১ | মরিশাস | পোর্ট লুইস | মরিশিয়ান রুপি |
১১২ | মেক্সিকো | মেক্সিকো সিটি | মেক্সিকান পেসো |
১১৩ | মাইক্রোনেশিয়া | পালিকির | মার্কিন ডলার |
১১৪ | মোলদোভা | চিসিনউ | লেউ |
১১৫ | মোনাকো | মন্টে কালো | ইউরো |
১১৬ | মঙ্গোলিয়া | উলানবাতার | তোগরোগ |
১১৭ | মন্টেনেগ্রো | পদগরিকে | ইউরো |
১১৮ | মরক্কো | রাবাত | দিরহাম |
১১৯ | মোজাম্বিক | মাপুটো | মেটিক্যাল |
১২০ | মায়ানমার | নাও পয়ি তাও | কিয়া |
১২১ | নামিবিয়া | উইন্ডহয়েক | নামিবিয়া ন ডলার |
১২২ | নাউরু | য়ারেন | অস্ট্রেলিয়ান ডলার |
১২৩ | নেপাল | কাঠমান্ডু | নেপালিস রুপি |
১২৪ | নেদারল্যান্ড | দা হেগ | ইউরো |
১২৫ | নিউজিল্যান্ড | ওয়েলিংটন | নিউজিল্যান্ড ডলার |
১২৬ | নিকারাগুয়া | মানাগুয়া | গোল্ড কার্ডোবা |
১২৭ | নাইজের | নায়ামি | CFA ফ্রাঙ্ক |
১২৮ | নাইজেরিয়া | আবুজা | নাইরা |
১২৯ | নরওয়ে | ওসলো | নরওয়েজিয়ান ক্রোন |
১৩০ | ওমান | মাসকট | ওমানি রিয়াল |
১৩১ | পাকিস্তান | ইসলামাবাদ | পাকিস্তানী রুপি |
১৩২ | পালাউ | মেলেকেওকে | মার্কিন ডলার |
১৩৩ | প্যালেস্টাইন | পূর্ব জেরুজালেম | প্যালেস্টাইন পাউন্ড |
১৩৪ | পানামা | পানামা সিটি | মার্কিন ডলার |
১৩৫ | পাপুয়া নিউ গিনি | পোর্ট মোর্সবি | কিনা |
১৩৬ | প্য়ারাগুয়ে | আসুনসিওন | গুয়ারানি |
১৩৭ | পেরু | লিমা | নুয়েভো সোল |
১৩৮ | ফিলিপিন্স | মানালি | পেসো |
১৩৯ | পোল্যান্ড | ওয়ারশো | জেলোট |
১৪০ | পর্তুগাল | লিসবন | ইউরো |
১৪১ | কাতার | দোহা | কাতার রিয়াল |
১৪২ | রোমানিয়া | বুখারেস্ট | রোমানিয়ান রুপি |
১৪৩ | রাশিয়া | মস্কো | রুবল |
১৪৪ | রুয়ান্ডা | কিগালি | রুয়ান্ডান ফ্রাঙ্ক |
১৪৫ | সেন্ট কিটস এ্যান্ড নেভিস | বাসসেট্রি | ইস্ট ক্যারিবিয়ান ডলার |
১৪৬ | সেন্ট লুসিয়া | ক্যাস্ট্রিজ | ইস্ট ক্যারিবিয়ান ডলার |
১৪৭ | সেন্ট ভিনসেন্ট এ্য়ান্ড দা গ্রানাডিসেন | কিংসটাউন | ইস্ট ক্যারিবিয়ান ডলার |
১৪৮ | সামোয়া | এপিয়া | টালা |
১৪৯ | সান মারিনো | সান মারিনো | ইউরো |
১৫০ | সাও টম এ্যান্ড প্রিন্সিপে | সাও টম | দোবরা |
১৫১ | সৌদি আরব | রিয়াদ | সৌদি রিয়াল |
১৫২ | সেনেগাল | ডাকার | CFA ফ্রাঙ্ক |
১৫৩ | সার্বিয়া | বেলগ্রেদ | সার্বিয়ান দিনার |
১৫৪ | সেইছেলেস | ভিক্টোরিয়া | সেইছেলেস রুপি |
১৫৫ | সিয়েরা লিওন | ফ্রিটাউন | লিওন |
১৫৬ | সিঙ্গাপুর | সিঙ্গাপুর | সিঙ্গাপুর ডলার |
১৫৭ | স্লোভাকিয়া | ব্রাতিস্লোভা | ইউরো |
১৫৮ | স্লোভেনিয়া | লুব্ল্যানা | ইউরো |
১৫৯ | সলোমন আইল্যান্ড | হনিয়ারা | সলোমন আইল্যান্ড ডলার |
১৬০ | সোমালিয়া | মোগাদিসু | সোমালিয়ান শিলিং |
১৬১ | দক্ষিণ আফ্রিকা | কেপ টাউন | রান্ড |
১৬২ | দক্ষিণ সুদান | জুবা | সুদানিস পাউন্ড |
১৬৩ | স্পেন | মাদ্রিদ | ইউরো |
১৬৪ | শ্রীলঙ্কা | কলম্বো | শ্রীলঙ্কান রুপি |
১৬৫ | সুদান | খার্তুম | সুদানিস পাউন্ড |
১৬৬ | সোয়াজিল্যান্ড | লোবাম্বা | লিলাঙ্গেনি |
১৬৭ | সুইডেন | স্টকহোম | ক্রোন |
১৬৮ | সুইজারল্যান্ড | বার্ন | সুইস ফ্রাঙ্ক |
১৬৯ | সিরিয়া | দামাস্কাস | সিরিয়ান পাউন্ড |
১৭০ | তাইওয়ান | তাইপেই | তাইওয়ান ডলার |
১৭১ | তাজিকিস্তান | দুশানবে | সোমনি |
১৭২ | তাঞ্জানিয়া | দোদোমা | তাঞ্জানিয়ান শিলিং |
১৭৩ | থাইল্যান্ড | ব্যাংকক | বাথ |
১৭৪ | টোগো | লোমে | CFA ফ্রাঙ্ক |
১৭৫ | টোঙ্গা | নুকুলোফা | পাঙ্গা |
১৭৬ | ত্রিনিদাদ এ্য়ান্ড টোবাগো | পোর্ট অব স্পেন | ত্রিনিদাদ এ্য়ান্ড টোবাগো ডলার |
১৭৭ | তিউনিসিয়া | তিউনিস | তিউনিসিয়ান ডলার |
১৭৮ | তুর্কি | আঙ্কারা | তার্কিস লিরা |
১৭৯ | তুর্কমেনিস্তান | আশখাবাত | মানত |
১৮০ | টুভালু | ভাইয়াকু ভিলেজ | টুভালুয়ান ডলার |
১৮১ | উগান্ডা | কাম্পালা | উগান্ডান নিউ শিলিং |
১৮২ | ইউক্রেন | কিয়েভ | হিব্রনিয়া |
১৮৩ | ইউনাইটেড আরব আমিরাত | আবুধাবি | দিরহাম |
১৮৪ | ইউনাইটেড কিংডম | লন্ডন | পাউন্ড স্টার্লিং |
১৮৫ | উরুগুয়ে | মন্টেভিডিও | উরুগুয়েন পেসো |
১৮৬ | উজবেকিস্তান | তাশখন্দ | উজবেকিস্তান সুম |
১৮৭ | ভানুয়াতু | পোর্ট ভিলা | ভাতু |
১৮৮ | ভেটিকান সিটি | ভেটিকান সিটি | ইউরো |
১৮৯ | ভেনেজুয়েলা | কারাকাস | বলিভার |
১৯০ | ভিয়েতনাম | হ্যানয় | ডোঙ্গ |
১৯১ | ইয়েমেন | সানা | রিয়েল |
১৯২ | জাম্বিয়া | লুসাকা | কবচা |
CFA = Communauté financière africaine = African Financial Community
[…] পায়। কারণ আমদানি মূল্য পরিশোধ করতে হয় বৈদেশিক মুদ্রায় কিন্তু সেই পণ্য দেশীয় বাজারে বিক্রয় […]
[…] মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে দেশীয় বাজারে আমদানিকৃত পণ্যের মুল্য বৃদ্ধি পায়। কারণ আমদানি মূল্য পরিশোধ করতে হয় বৈদেশিক মুদ্রায় কিন্তু সেই পণ্য দেশীয় বাজারে বিক্রয় করতে হয় দেশীয় মুদ্রায়। পক্ষান্তরে, রপ্তানিলব্ধ বৈদেশিক মুদ্রা ভাঙ্গিয়ে বেশি দেশি মুদ্রা পাওয়া যায় বলে ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় আমদানি অপেক্ষা রপ্তানি বানিজ্যে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হয়। ফলে আমদানি হ্রাস পায়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ন্ত্রণে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। […]